আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এই শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ফ্ল্যাক্স সিড। এই ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসির বীজে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে শুধু শীতকাল নয় চাইলে সারা বছরই খেতে পারেন ফ্ল্যাক্স সিড।কারণ-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ফ্যাক্স সিডে এমন সব উপাদান রয়েছে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়বেটিকরা নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ফ্ল্যাক্স সিড রাখলে উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
শীতকাল এলেই পেট নিয়ে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে সব থেকে বেশি হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ভীষণ কাজের এই ফ্ল্যাক্স সিড।এটা নিয়মিত খেলে পেট পরিষ্কার হয় আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও আর থাকে না।
ওজন কম করতে সাহায্য করে
ফ্ল্যাক্স সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই ফ্ল্যাক্স সিড খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর ফলে বার বার খিদে পায় না।আর তাই শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। আবার অন্যদিকে এই ফাইবার শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরোতে সাহায্য করে। ফলে পেট পরিষ্কার করে। শরীরে সহজে চর্বি জমতে পারে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হার্ট ভাল রাখে
একাধিক গবেষণায় জানা গেছে ফ্ল্যাক্স সিড খেলে এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্ট্রাল কম হয়।এর ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
এছাড়া ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড।এখানেই শেষ নয়।ফ্ল্যাক্স সিডে অ্যান্টিএজিং কার্যকারিতা রয়েছে।তাই যাঁরা মাছ-মাংস খেতে পান না তাঁরা এই ফ্ল্যাক্স সিড খেতে পারেন।
ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসির বীজের এই উপকারিতা যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফ্ল্যাক্স সিড রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
তবে খাবার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কারণ, পুষ্টিকর খাবারও প্রয়োজন ও পরিমাণ বুঝে না খেলে সমস্যা হতে পারে। উপকারের বদলে অপকার হতে পারে। তাই ডেলি ডায়েটে ফ্ল্যাক্স সিড রাখার আগে নিউট্রিশনিস্টেদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না