এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য ফের জলমগ্ন কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু। রাতভর বৃষ্টির জেরে শহরের অধিকাংশ রাস্তাই আপাতত জলের তলায়। সোমবার, সপ্তাহের শুরুতেই জলমগ্ন রাস্তায় যানজটের জেরে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পুর-প্রশাসন। বেঙ্গালুরু পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তরফে শহরবাসীকে জরুরি কারণ ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কর্নাটকের রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছাড়াও শহরের অধিকাংশ বহুতলের বেসমেন্ট পুরোপুরি জলের তলায় চলে গিয়েছে। শহরের ইকোস্পেস, কেআর মার্কেট, সিল্ক রোড জাংশন লাগোয়া রিং রোড এলাকারও বিস্তীর্ণ অংশের পরিস্থিতি শোচনীয়। শহরের ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড এলাকা দেখে মনে হচ্ছে যেন বানভাসি পরিস্থিতি। অবস্থা সরেজমিনে দেখতে দুদিন আগেই ঘটনাস্থল গিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। সপ্তাহের শুরুতেই জলমগ্ন রাস্তায় যানজটের জেরে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হওয়ায় বিলক্ষণ অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। শহর লাগোয়া বেলাগেরে-পানাথুর রোড কার্য়ত নদীর আকার নিয়েছে। মহাদেবপুরা এলাকার অন্তত ৩০টি বিপুল আকারের হাউসিং কমপ্লেক্স একেবারে জলমগ্ন।
শহরে যোগাযোগের মাধ্যম আপাতত রাবার বোট। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে আছে খারাপ হয়ে যাওয়া বাস। পুলিশের তরফ থেকে শহরবাসীকে জরুরি কারণ ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে অধিকাংশ স্কুল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বন্ধ রাখতে হয়েছিল স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এরকম পরিস্থিতি চলতে পারে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এদিকে দুর্যোগের কারণে দফতর বন্ধ থাকায় বিভিন্ন আইটি এবং ব্যাংকিং সংস্থার তরফে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে তাঁরা কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই প্রশাসন যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। ওই বিষয়ে বাসবরাজ বোম্মাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলবেন।