নয়াদিল্লি: দূর্নীতির অভিযোগে শেষ পর্যন্ত ক্লিনচিট পেলেন মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লির নয়া আবগারি নীতিতে বেনিয়মের অভিযোগে এর আগে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। বাড়ির পর মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্ক লকার তল্লাশি করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু কিছুই পায়নি সিবিআই। এই কথা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে গিয়ে সিসোদিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তদন্তে ক্লিন চিট পেলাম আমি ও আমার পরিবার। বাড়ি ও ব্যাঙ্কে সিবিআই কিছুই পায়নি।
মঙ্গলবার, সকালে গাজিয়াবাদের একটি ব্যাঙ্ক লকারে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গয়না পাওয়া যায়। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মণীশ সিসোদিয়ার বক্তব্য, আমি খুশি হয়েছি যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমার বাড়ি ও ব্যাঙ্ক লকারে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তবে কোথাও কিছুই মেলেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে কটা রেড হয়েছে সবগুলোতেই আমি ও আমার পরিবার ক্লিন চিট পেয়েছি।
আপ সরকারের আবাগারি দূর্নীতিতে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। তদন্তে নেমে দু’সপ্তাহ আগে মণীশের বাড়ি, অফিস এবং তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। সেই প্রসঙ্গ টেনে মণীশ সোমবার হিন্দিতে একটি টুইটে লেখেন, আগামিকাল সিবিআই আমাদের ব্যাঙ্ক লকার তল্লাশি করবে। ১৯ অগস্ট আমার বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। লকারেও কিছু মিলবে না। সিবিআইকে স্বাগত। আমি এবং আমার পরিবার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’’
দিল্লি সরকারের আবগারি দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন মণীশ সিসোদিয়া। এই মামলায় মণীশ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। এদিন গাজিয়াবাদে ওই ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশির সময় হাজির ছিলেন মণীশ এবং তাঁর স্ত্রী।