Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeদেশনোট বাতিলের কারণেই বেহাল অর্থনীতি, দাবি বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রীর

নোট বাতিলের কারণেই বেহাল অর্থনীতি, দাবি বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রীর

Follow Us :

নয়াদিল্লি: করোনার কারণে বেহাল হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। খুব সহজেই এই দাবি করে থাকে সরকার এবং বিজেপির নেতানেত্রীরা। কিন্তু বাস্তব চিত্র হচ্ছে দেশের অর্থনীতি খারাপ হয়েছে আরও বছর পাঁচেক আগে থেকেই। ২০১৯ সালের অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। এমনই দাবি করলেন বিজেপি পরিচালিত সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- এই ভারতের জন্য আমরা লড়িনি, আফসোসের সুর ১১০ বছরের সংগ্রামী কৃষকের গলায়

আলোচিত ব্যক্তি হলেন যশবন্ত সিনহা। যিনি অটল বিহারী বাজপায়ী জমানায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পরে বিদেশমন্ত্রকের মতো গুরু দায়িত্বও সামাল দিয়েছিলেন তিনি। মাস খানেক আগে সেই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। ঘাস ফুল শিবিরের হয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে পরিসংখ্যান দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- চালু হল রাহুল গান্ধীর Twitter অ্যাকাউন্ট, ‘সত্যমেব জয়তে’ টুইট করল কংগ্রেস

শনিবার দুপুরের দিকে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ওই সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে যশবন্ত সিনহা বলেন, “২০১৩ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। ২০০৮ সালে বিশ্ব জুড়ে যে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছিল সেই সময়ে ভারতের আর্থিক ব্রিদ্ধির হার ছিল ৩.০৯ শতাংশ। সেই জটিলতা কাটিয়ে ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।”

আরও পড়ুন- মোদি বিরোধিতায় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট নয়, ‘জাগো বাংলা’য় বার্তা তৃণমূলের

২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। যাত্রা শুরু হয় মোদি সরকারের। যশবন্ত সিনহা জানিয়েছেন যে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক অগ্রগতির রেশ জারি ছিল। যদিও পরে তা কমতে শুরু করে। তাঁর কথায়, “নোট বাতিলের পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। যা করোনার আবহে ভয়ানক আকার নিয়েছে।” যশবন্ত সিনহা আরও বলেছেন, “অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কারণে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার সময় যদি বাদ দেওয়া হয়ে তাহলেও ২০১৯ সালে বেকারত্বের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে অতিমারির কারণে তা আরও বেড়েছে।”

২০১৬ সালের নভেন্বর মাসে আচমকা নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা, জাল টাকার কারাবার রোধ এবং কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করতেই ওই সিদ্ধান্ত বলে জানান মোদি। নোট বাতিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে বিরোধীর। যা নিয়ে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা বলেছেন, “যে সকল কারণের জন্য নোট বাতিল করা হয়েছিল সেগুলির কিছুই হয়নি। কালো টাকার কারবার রমরমিয়ে চলছে। বিদেশ থেকে টাকা আসা দূরের কথা উলটে আরও গিয়েছে।” নোট বাতিল একটা বড় দুর্নীতি বলে আগে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular