বেঙ্গালুরু: জুলাইয়ের শেষে বিএস ইয়েদুরাপ্পার ছেড়ে যাওয়া আসনে বসেছিলেন বাসবরাজ এস বোম্মাই। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে বাসবরাজ দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে দুটি বিধানসভার উপনির্বাচন দক্ষিণের এই রাজ্যে। যা বোম্মাইয়ের কাছে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট। দুটি আসন দখল করাই এখন প্রধান টার্গেট বিজেপির কাছে।
৩০ অক্টোবর কর্ণাটকের হানাগল এবং বাইদাগি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির। হানাগল আসনে দলীয় প্রার্থীকে মানতে নারাজ দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। তর্জন-গর্জনে কাজ না হওয়ায় রীতিমতো গোঁজ প্রার্থীও দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে পরোক্ষভাবে মদত রয়েছে দলের কয়েকজন শীর্ষনেতার। ফলে আসনটি আদৌ দখলে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কর্ণাটক বিজেপির অন্দরে।
আরও পড়ুন: এ বার মোদি, দেশের সাফল্য দেখাতে আমেরিকার ছবি ব্যবহারের অভিযোগ
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল হানাগল বিজেপির কাছে নিরাপদ আসন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে বিজেপি নেতা চন্নাপ্পা বল্লারি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দলের একাংশের সমর্থনও তাঁর দিকেই রয়েছে। প্রার্থী হিসেবে প্রথমে তাঁর নাম ভাবা হলেও পরে শিবরাজ সজনারের নামে সিলমোহর দেয় দলের হাইকম্যান্ড। যদিও বচন নন্দ স্বামীজি এবং জয়া মৃত্যুঞ্জয় স্বামীজির মতো নেতারা সমর্থন করছেন গোঁজ প্রার্থী চন্নাপ্পা বল্লারিকে।
বিজেপির চিন্তা আরও বাড়িয়েছে লিঙ্গায়েত ভোট। দুই প্রার্থীই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হানাগলে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ রয়েছেন। ফলে এই ভোট যে চন্নাপ্পা এবং শিবরাজের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রচারে বেরিয়ে নির্দল প্রার্থী চন্নাপ্পা বিজেপি প্রার্থী শিবরাজকে বহিরাগত বলে প্রচার করছেন। যা ভোটারদের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছবি ‘চুরি’, উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন প্রচারে বাংলার ‘মা’-মমতাই ভরসা যোগীর
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে একটি আসনে উপনির্বাচন এবং দুটি আসনে নির্বাচন হয়েছে। তিনটি আসনেই বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগে মে মাসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। দলে কোন্দল তো ছিলই না, উল্টে বিজেপি ভেঙে আরও শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। দেশে বিজেপি বিরোধী হিসেবে বড় মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল যেখানে ঘর সামলে অন্য রাজ্যে প্রভাব বিস্তারে জোর দিয়েছে, সেখানে বিজেপির একটা রাজ্যে কোন্দল মেটাতেই কালঘাম ছুটছে। কর্ণাটকের দুটি আসন জিতে বোম্মাই মান রাখতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।