পটনা: দীর্ঘ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর হাতে গ্রেফতার লালুপ্রসাদ ঘনিষ্ঠ সুভাষ যাদব (Subhash Yadav)। অবৈধ বালি খাদান মামলায় (Sand Mining Case) তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শনিবার দিনভর বিহারের পটনা-সহ সুভাষের আটটি ঠিকানায় ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় নগদ ২ কোটিরও বেশি টাকা এবং নথিপত্র। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় লালু-ঘনিষ্ঠ আরজেডি নেতাকে। সুভাষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছিল বিহার পুলিশ। সেই মামলারই তদন্ত করছে ইডি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৮)
এর আগে আয়কর দফতরও তল্লাশি চালিয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ঘনিষ্ঠ এই আরজেডি নেতার বাড়িতে। ২০১৮ সালে আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা পটনা, দিল্লি এবং ধানবাদেও তল্লাশি চালান। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুভাষের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও সুভাষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করার জন্য লালু এবং তাঁর পরিবারকে জমি এবং ফ্ল্যাট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী সংসারের টুকিটাকি কাজ করবেন, স্বামীর এমন আশা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের চাতরা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সুভাষ। তবে জিততে পারেননি। এ বছর পটনার গান্ধী ময়দানে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মিছিলেও সুভাষকে দেখা গিয়েছে। আরজেডি (RJD)-র টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়া সুভাষের বিরুদ্ধে অবৈধ বালিখাদান চালানো এবং আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় সুভাষের পটনার বাসভবন-সহ মোট ছয় জায়গায় এবং দানাপুরের আরও দু’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।
আরও খবর দেখুন