কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয় দফার ‘অপারেশন কমল’ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের নেতৃত্বেই নয়া সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে। যাদের সমর্থন দেবে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপি নেতারা বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে, শিন্ডেও মুম্বই রওনা দেওয়ার আগে তাঁর শিবিরের বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা করবেন। সরকার পতনের পর এখন যে বিষয়টি উঠে আসছে, সেটা হল নয়া সরকারে কারা, কী দফতর পাবে? তাছাড়া দফতর নিয়ে দর কষাকষি শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়াবে?
আরও পড়ুন: Amarnath Yatra 2022: আজ থেকেই শুরু বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা, তীর্থযাত্রীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে
এটাও রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে যে, শিন্ডে গোষ্ঠীর নাম-পরিচয় কী থাকবে? কারণ, উদ্ধব ঠাকরে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করলে, শিন্ডেকে হয় নতুন দল গঠন করতে হবে, নয়তো বিজেপিতে মিশে যেতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয়টি নিয়ে একনাথের ঘরেই প্রবল আপত্তি আছে। কেননা অনেক বিদ্রোহী বিধায়ক আছেন, যাঁরা বিজেপিতে ভিড়তে নারাজ। কারণ, এলাকার রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী পরবর্তী ভোটে বিজেপি টিকিটও না দিতে পারে। এই সমস্ত হ্যাঁ-কিন্তু নিয়ে বিজেপি এবং শিন্ডে গোষ্ঠী এদিনই পৃথকভাবে আলোচনায় বসতে চলেছে। একথা অনস্বীকার্য যে, শিন্ডেরা শাঁসালো দফতরগুলির দাঁও মারার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু, নগরোন্নয়ন, অর্থ কিংবা স্বরাষ্ট্র দফতর বিজেপিও ছাড়তে রাজি হবে বলে মনে করছেন না কেউ। ফলে সরকার গঠনের মতো অবস্থায় এলেও ক্ষমতা দখলের রাজনীতির জল কোথায় গড়ায় সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নেতৃত্বে যে বিজেপি সরকার গঠনের দাবি জানাবে, সেটা মোটামুটি পরিষ্কার। কিন্তু, শিন্ডেরা এখন সরকারের পতন ও সমর্থনের জন্য কী দর হাঁকান, তাই নিয়েই বৃহস্পতিবার দুপক্ষের বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।