গুজরাতে ভোটের প্রচারে তিনি একদিনও অংশ নেননি। টানা ৭৩ দিন ভারত জোড় যাত্রায় হাঁটছেন দেশের নানা অংশে। বরং আগামী ১ আর ৩ ডিসেম্বর নিজের রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গোটা প্রচারপর্বটা গুজরাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। আর সেই রাহুল গান্ধীকেই কি না প্রচারে নিশানা করতে হল নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। তাও আবার ভোটের মাত্র দিন দশেক আগে, যা দেখে রাজনৈতিক পর্ষবেক্ষকরা বলছেন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ওই রাজ্যে সরকার বিরোধী হাওয়া যে ক্রমেই বেশ জোরদার হয়ে উঠছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সাতাশ বছর ধরে গুজরাতে (Gujarat) ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর সেকারণেই মোদি রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার চোরাস্রোত রয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অমশ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটে ১৮২টি আসনের মধ্যে ৯৯টি পেয়েছিল পদ্ম শিবির। দলের সেই ফলাফলে কিন্তু একেবারেই নিশ্চিন্ত হতে পারেনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। হয়তো এজন্যই নিজের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁজ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন মোদী-শাহ।
সমাজকর্মী মেধা পটেকর (Medha Patekar) সম্প্রতি যোগ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড় যাত্রায়। আর সেটিকেই হাতিয়ার করে রবিবার নরেন্দ্র মোদি কাঠগড়ায় তোলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। তাঁর কথায়, “একজন কংগ্রেস নেতা পদযাত্রায় ঘুরছেন। দেখা যাচ্ছে, তিনি সঙ্গে নিয়েছেন এমন একজন মহিলাকে যিনি নর্মদা বাঁধ প্রকল্পটি (Narmada Dam Project) তিন দশক ধরে আটকে দেখেছিলেন। ওই প্রকল্প না হলে কতটা শোচনীয় অবস্থা হতে পারত গুজরাতের।”
নিশানা যে মোক্ষম জায়গায় তা বুঝে প্রধানমন্ত্রীর ওই আক্রমণের পর এবার বিজেপির শীর্ষ নেতারাও রাহুলকে এখন কাঠগড়ায় তুলছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) থেকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) একযোগে মেধা পটেকর ইস্যুতে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধীকে। রাজনৈতিক মহলের মতে লক্ষ্য একটাই, কংগ্রেসকে গুজরাত-বিরোধী তকমায় আটকে ভোটে নিজেদের জয় নিশ্চিত করা।