কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গোয়ায় স্মৃতি ইরানির মেয়ের বিতর্কিত পানশালার জল আরও ঘোলা হচ্ছে। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও তাঁর মেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেও মঙ্গলবার আরও পর্দা ফাঁস হল৷ জানা গিয়েছে, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির স্বামী জুবিন ইরানি বহুচর্চিত গোয়ার পানশালার জিএসটি’র একজন অংশীদার। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত পানশালাটি যে ঠিকানায় রয়েছে, সেখানে একই ঠিকানায় রয়েছে এইটঅল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে আরও একটি সংস্থা। যার মালিক স্মৃতি ইরানির স্বামী ও পরিবারের একাধিক সদস্য।
এছাড়াও ইরানি পরিবারের কোম্পানি ও স্মৃতি-কন্যার বলে পরিচিত সিলি সোলস কাফে অ্যান্ড বারের জিএসটি নম্বর পর্যন্ত এক। ইরানি পরিবারের কোম্পানির যে হিসাবপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে— তারা এই পরিমাণ টাকা জিনিসপত্র, মদ ও খাবার কিনতে খরচ করেছে। এবং এত পরিমাণ টাকা বিক্রি থেকে আয় হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে, এইটঅল কোম্পানির মদ বিক্রির লাইসেন্স আছে।
এমনকী আরও একটি প্রমাণে দেখা যাচ্ছে যে, জুবিন ইরানির একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্ট, যা ফলো করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও, তাতে রয়েছে ‘কোফাউন্ডার@সিলিসোলসকাফে গোয়া’। জুবিনের নিজের পরিচয়ের জায়গায় এই লেখাটি রয়েছে। এছাড়াও স্মৃতি-কন্যা জইশ ইরানির একটি সাক্ষাৎকারেও জানা গিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে সত্য গোপন করেছেন মন্ত্রী। প্রখ্যাত খাদ্যরসিক-সমালোচক কুণাল বিজয়কর একটি অনুষ্ঠানে জইশকে সিলি সোলস রেস্তরাঁর মালকিন বলে পরিচয় দেন। আর তাতে ঘাড় নেড়ে সায় দেন ১৮ বছরের উদ্যোগপতি জইশ।
এইসব সত্য প্রকাশ্যে আসার পরই বোঝা যাচ্ছে, বিতর্কিত পানশালারও মালিক অথবা পরিচালন ক্ষমতা রয়েছে জুবিনের এইটঅল বেভারেজের হাতে। যার বিরাট অংশের অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের নামেও।
আরও পড়ুন: National Herald-ED: সোনিয়া এবং রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এবার ইডির হানা ন্যাশনাল হেরাল্ডের সদর দফতরে
উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, নিয়ম ভেঙে স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়েকে গোয়ার রেস্তরাঁ এবং পানশালার লাইসেন্স দেওয়া হয়নি৷ অভিযোগ, এই পানশালার লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে স্মৃতি ইরানির মেয়ের নামে৷ আরটিআইয়ের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ তোলে কংগ্রেস৷ তারা আরও দাবি করে, প্রভাব খাটিয়ে স্মৃতি ইরানি ওই রেস্তরাঁর লাইসেন্স বের করেছেন৷ ক্ষুব্ধ স্মৃতি এরপরই কংগ্রেসের তিন নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট৷ বিচারপতি বলেন, সমস্ত নথি দেখার পর এটা পরিষ্কার, মামলাকারী বা তাঁর মেয়ের নামে কোনও লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি৷ তাঁরা ওই রেস্তরাঁর মালিকও নন৷ তাঁরা কখনও লাইসেন্স চেয়ে আবেদনও করেননি৷