কলকাতা: রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূল বাংলার ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লক্ষাধিক মানুষের সামনে প্রার্থীদের পরিচয় করালেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় (Trinamool Candidate list) রয়েছে বড় চমক। নতুন মুখ যেমন রয়েছে তেমনি বেশ কয়েকজন সাংসদকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া তিন বিজেপি বিধায়কের নাম। আবার এবারের তালিকায় জায়গা পেয়েছে বিজেপি থেকে আসা তিন বিধায়কের নাম। রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যানী (Krishna Kalyani), রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী (Mukut Mani Adhikari) এবং বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে (Biswajit Das) টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।
২০২১ সালেই বিধানসভা ভোটের পরেই তৃণমূলে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছেন। উত্তরের সব আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি। প্রথম দফায় রাজ্যের কয়েকটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্তঘাঁটি । সেই জমিতে ঘাসফুল ফোটাতে বিজেপির থেকে আসা কৃষ্ণ কল্যাণীর উপরই আস্থা রাখল তৃণমূল। যদিও রায়গঞ্জের বিজেপির প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: ভোটে জিতেও বাদ তৃণমূলের ৫ সাংসদ
৭ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলেই তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তিনি মতুয়া মুখ হিসেবে পরিচিত। মতুয়াদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। রানাঘাট কেন্দ্র থেকে দলবদলু মুকুটকে প্রার্থী করল তৃণমূল ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বিপরীতে তাঁকে দাড় করানো হল। গত নির্বাচনে মুকুটমণির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও টিকিট পান জগন্নাথ সরকার। এবারও লোকসভা ভোটে বিজেপির টিকিট প্রত্যাশী ছিলেন মুকুট। কিন্তু তিনি টিকিট পাননি। তৃণমূলে এসেই শিকে ছিঁড়ল মুকুটমণির।
এদিকে বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। তাঁকে এবার বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিধানসভা নির্বাচনের পর যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। তাঁকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও করেছে তৃণমূল। বিশ্বজিৎকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী করল রাজ্যের শাসকদল। মুকুট, কৃষ্ণ, বিশ্বজিৎ এখনও কাগজে কলমে তৃণমূলের বিধায়ক। কেউ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি। বিজেপি বিধায়ক হয়েও বিশ্বজিৎ তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এটাও নজিরবিহীন ঘটনা।
অন্য খবর দেখুন