সোনারপুর: কলকাতার নেতাজিনগরের (Netajinagar) এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। মৃত যুবকের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত (৩১)। তিনি সুভাষগ্রামে মামাবাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার সেখান থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, দীর্ঘদিন দিন ধরে তাঁর মনে হচ্ছিল তিনি আর এই দেশে নাগরিক হিসেবে থাকতে পারবেন না। তার জেরে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন দেবাশিস। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সিএএ (CAA) নিয়ে আতঙ্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী এবং শাসকদলের অন্য নেতারা দেবাশিসের বাড়িতে যান। তৃণমূল ভোটের আগে এই মৃত্যুকে হাতিয়ার করে ফয়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে পাল্টা দাবি বিজেপির। দলের এক নেতা বলেন, আতঙ্ক ছড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই বারবার মিথ্যে প্রচার চালিয়ে বাজার গরম করেছেন। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এদিন মৃতের বাবা তপন সেনগুপ্ত থানায় অভিযোগ করেন, সিএএ ঘোষণার পর ছেলে মানসিক অবসাদ এবং দুশ্চিন্তায় ভুগছিল। তার জেরেই এই কাণ্ড।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত কারণ’, ভোটের মুখে ইস্তফা দিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর
এদিন দেবাশিসের মৃত্যু নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, সিএএ-র পর এনআরসি নিয়ে আসবে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। আমাদের সেই আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল নেতাজিনগরের ঘটনায়। চন্দ্রিমা জানান, মৃতের পরিবারের দাবি, সিএএ নিয়ে দেবাশিস খুব আতঙ্ক এবং অবসাদে ভুগছিলেন। সেই আতঙ্ক থেকেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, এর জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। মোদিজি, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন এসব?
দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেন, সিএএ এবং এমআরসির কারণে এর আগে অসমে অনেক মৃত্যু হয়েছে। এবার কলকাতাতেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। তাঁর অভিযোগ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
অন্য খবর দেখুন