একসময় বলিউডের ব্লকবাস্টার হিট ফিল্ম এবং শাহরুখ খান ছিলেন প্রায় সমর্থক। চলতে চলতে থেকে কাল হো না হো।ম্যায় হু না থেকে বীর জারা কিংবা স্বদেশ,ডন থেকে ওম শান্তি ওম,চক দে ইন্ডিয়া।২০০৩ থেকে ২০০৮,পাঁচ বছরে সব ছবি সুপার-ডুপার হিট।যতগুলো ছবিতে তিনি অভিনয় করতেন ততগুলো ছবিই বক্সঅফিস কালেকশনে পাল্লা দিত একে অন্যকে।অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি গুলোতে সেরা অভিনেতার কম্পিটিশনেও লড়াইটাও ছিল কিং খান ভার্সেস কিং খান।অথচ এখন, দীর্ঘ তিন বছর মুক্তি পায়নি শাহরুখের কোন ছবিই।শেষ ছবি জিরো বক্সঅফিসে ডাহা ফেল। সমালোচকদের মন জয় করতেও ব্যর্থ ছবি।প্রযোজনার জগতে পা রেখেছেন দীর্ঘদিন হল,তবে গত কয়েক বছরে তেমন ভালো ছবিও রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট তৈরি করতে পারল কই?আয়ুষ্মান খুরানা,রাজকুমার রাও,নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিদের দাপটে অভিনয় জগত থেকে প্রায় উধাও হয়ে গিয়েছেন কিং খান।
সুপারস্টারদের তো নিন্দুকের অভাব হয় না।নিন্দুকরা বলছেন শাহরুখের কেরিয়ার শেষ।তবে বরাবরের মতো চেষ্টার খামতি রাখছেন না শাহরুখ।কারণ, ভক্তদের কাছে আজও তিনি বাজিগর।তিনিই তো বলেছিলেন,হারকর জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর কেহতে হ্যায়।শাহরুখ মানে তো শুধুই সুপারস্টার নন,তিনি ভক্তদের কাছে জলজ্যান্ত ইন্সিপিরেশন, মোটিভেশন।হার না মানা এক অদম্য জেদ।একদিকে যশ রাজ ফিল্মসের পাঠান, অন্যদিকে নিজের প্রোডাকশন হাউজের অ্যাটলি কুমার পরিচালিত ছবি লায়ন।একসঙ্গে দুটি ছবির শ্যুটিংই মনপ্রাণ দিয়ে করেছিলেন কিং খান।দুটি ছবি নিয়েই ফের তোলপাড়া কিং ভক্তরা।কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল পারিবারিক বিপর্যয়।
মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে মাদক নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান।কয়েকদিন এনসিবি হেফাজতে থাকার পর জেলে পাঠানো হয় তাঁকে।কয়েকদিনের মধ্যেই পাঠান-এর শ্যুটিং করতে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল কিং খানের।কিন্তু আরিয়ানের গ্রেফতারির ঘটনায় কিছুদিন শ্যুটিংই করতে পারেননি তিনি।অবশেষে বৃহস্পতিবারই জামিন পেয়েছেন আরিয়ান।দীর্ঘ টালবাহানার পর শনিবার বাড়ি ফিরেছেন শাহরুখ পুত্র।ফের পাঠান এবং লায়ন-এর শ্যুটিংয়ে যোগ দেবেন অভিনেতা।বক্সঅফিসে খরা কাটিয়ে ফের স্বমহিমায় ধরা দেবেন কিং খান।
পাশাপাশি ছেলের মুক্তির দিনে, জন্মদিনের প্রাক্কালে কিং খান বলেছেন,’’ যে আমি পাঠান, আমার পরিবারকে হেনস্থা করতে এলে বুক চিরে দেব।‘’ আমরাও চাই বাদশা আবার স্বমহিমায় ফিরে আসুন। বক্স অফিস কেঁপে উঠুক তার ছবির গল্পে, মিচকি হাসি আর দুরন্ত অ্যাকশনে।আর বলিউড কেঁপে উঠুক পাঠানের দৃপ্ত পদচারণায়। রাজনীতির নোংরা থাবার হাত থেকে যদি বলিউডকে কেউ বাঁচাতে পারেন, তবে সেটা একমাত্র কিং খান।
জন্মদিনের একমাত্র চাহিদা আমাদের –
‘’প্রতিদিন সূর্য ওঠে তোমায় দেখবে বলে
হে আমার আগুন, তুমি আবার ওঠো জ্বলে’’