দার্জিলিং: নভেম্বর মাস থেকেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন বিমল গুরুং। নভেম্বর মাসে গোর্খাল্যান্ডের দাবি কে সামনে রেখে দিল্লিতে ধর্নায় বসার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। যদিও এই পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের ডাকা দু’দিনের সেমিনারে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই অনুপস্থিত। শুধু হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়ে পরপর দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচন, জিটিএ নির্বাচনে এক কথায় পর্যুদস্ত বিমল গুরুং ও তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মনে করা হচ্ছে এক সময় পাহাড়ের একচ্ছত্র আধিপত্য হারিয়ে আজ অনেকটাই নিঃসঙ্গ বিমল গুরুং। তাই পাহাড়ের মানুষের সহানুভূতি ও আস্থা ফিরে পেতে ফের তৎপর তিনি। নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব গভীর সংকট বুঝে ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে তাই সরব হয়েছেন গুরুং। দার্জিলিঙের জি ডি এন এস হলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি কে সামনে রেখে দু’দিনের এক কনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন গুরুং। এই সেমিনারে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়া জি এন এল এফ, টিএমসি, সিপিএম, কংগ্রেস, হামরো পার্টি বা অনিত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কনো প্রতিনিধি উপস্থিত হয়নি।
দু’দিনের সেমিনার শেষে বিমল গুরুং জানান তিনি সব দলকে এই সেমিনারে ডেকেছিলেন, কিন্তু প্রথম দিন হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড ছাড়া কোনো দলেরই প্রতিনিধি সেমিনারে যোগ দেননি। তবে নিজের দাবি নিয়ে তিনি সরব থাকবেন বলে জানিয়েছেন গুরুং। এবার গোর্খাল্যান্ড এর দাবিকে সামনে রেখে তিনি একটি সর্বদলীয় ন্যাশনাল কমিটি ফর গোর্খল্যান্ড তৈরি করবেন।
তবে পাহাড়বাসী যে আর কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সায় দেবে না তা বিমল গুরুংয়ের ডাকা দু’দিনের কনভেনশনেই পরিষ্কার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে পাহাড়ের মানুষের কাছ থেকে ভাল সাড়া মিলেছে। এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায় পাহাড় এখন উন্নতি চায় আর কোন আন্দোলন করে নিজেদের ক্ষতি করতে তারা চায় না। যদিও বিমল গুরুং জানিয়েছেন তার একটাই লক্ষ্য এবং সেটা হল গোর্খাল্যান্ড এবং এই দাবিতেই আগামীতে একাধিক কর্মসূচি তিনি নেবেন। বিমল গুরুংয়ের এই মন্তব্যের পর পাহাড়ের রাজনীতি কোন দিকে যায় সেটিই এখন দেখার।