হাড়োয়া: ফের উত্তপ্ত হাড়োয়া। কার দখলে থাকবে গ্রাম, এই নিয়ে সংঘর্ষ। পরপর বোমাবাজি শূন্যে গুলি চালানোর অভিযওগ ওঠে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিন আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের বকজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে একদল আইএসএফ নেতাকর্মী বোমা ও গুলি চালিয়ে গ্রামে সন্ত্রাস তৈরি করে গ্রাম দখল করার চেষ্টা করে। এই অভিযোগে গ্রামের বাসিন্দারা হাড়োয়া থানায় আইএসএফ নেতা মসিদুল মল্লিক, নাসিরউদ্দিন সর্দার, শারিফুল শেখ নামে অভিযওগ দায়ের করে। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় আতঙ্ক ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। এমনকী পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করতে এই ধরনের কাজ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে কলকাতায় আইএসএফের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ভাঙচুর সহ পুলিশকে মারধর অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Egra | TMC | এগরার গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা
জানা গিয়েছে, মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। সেই তৃণমূল কর্মীদের পরিবার ও গ্রামকে ভয় দেখিয়ে নিজেরদের দখলে আনার পরিকল্পনা করছে এরা। তাই রাতের অন্ধকারে বোমা ও গুলি চালিয়ে এলাকা অশান্ত করে রাখার চেষ্টা করছে এই আইএসএফ নেতারা। হাড়োয়া থানায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ নেতা কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে তিন আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশয। এদিন ধৃত তিন নেতাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জেলার আইএসএফের যুগ্ন সম্পাদক মুসা কারিমুল্লা বলেন, সম্প্রতিকালে হাড়োয়ার ব্লক তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি খালেক মোল্লা প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিয়েছিলেন। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের তারাই চক্রান্ত করে ফাঁসাচ্ছে। হাড়োয়া দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফরিদ জমাদার বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ওই গ্রামে গিয়ে সভা করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে আইএসএম নেতাকর্মী সমর্থকরা এলাকায় আতঙ্ক ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে।