জলপাইগুড়ি: টানা বৃষ্টিতে (Rain) জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কালচিনির মেচপাড়াতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। বৃহস্পতিবার বায়ুসেনার চপার আকাশপথে এলাকার হাল পরিদর্শন করে।এদিকে মালদহ জেলার প্রধান দুই নদী গঙ্গা এবং ফুলহারে জল বাড়তে শুরু করেছে। জেলা সদরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও।
জলপাইগুড়িতে শতাধিক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা ময়নাগুড়ি ব্লকে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাল খুবই খারাপ। আটকে পড়েছে শতাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই অনেকে বাঁধের উঁচু জায়গায় আশ্র্য় নিয়েছেন। জলঢাকা নদীর জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, বাঁধ ভেঙে পড়ারও আশণগকা করছেন স্থানীয়রা। পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির কারনে জল বেড়েছে জলঢাকায়। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari | ৩৫৫ ধারা জারির মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
এদিন বাঁধের উপরে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির খোঁজ নিতে আসেন স্থানীয় বিদায়ী প্রধান দিলীপ রায়। সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া জোটেনি বলে অভিযোগ ওই মানুষগুলির। ময়নাগুড়িরর বিডিও শুকনো খাওয়ার এবং ত্রিপল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
এদিকে রাতভর মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সুখানি সেতু উপর দিয়ে জল বইছে। এরফলে মনমোহন ধুরার সঙ্গে নাগরাকাটার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতাযাতেও অসুবিধে হচ্ছে। বৃষ্টি চলতে থাকলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে বলে সেচ দফতরের আশঙ্কা। জেলা প্রশাসন বাসিন্দাদের সতর্কও করে দিয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমেও। তার ফলেই উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি সহ আরও দুই-একটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে জলপাইগুড়িতেও।