Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeBig newsমৃত্যুর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের মহাকাব্যিক কাহিনি সিনেমা নয়, সত্য

মৃত্যুর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের মহাকাব্যিক কাহিনি সিনেমা নয়, সত্য

Follow Us :

নয়াদিল্লি: ১১ দিন ধরে যখন ৪১ জন শ্রমিক লাগাতার মনের সঙ্গে যুঝে চলেছেন, তখন হয়তো আরব সাগর তীরে চলছে ‘সত্য ঘটনা অবলম্বনে’ চিত্রনাট্য তৈরির কাজ। ঠিক যেমনটা হয়েছিল হয়েছিল পশ্চিমে। ড্যানি বয়েলসের ‘হান্ড্রেড টোয়েন্টি সেভেন আওয়ার্স’ (127 Hours) পাঁচটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের (Academy Awards) মনোনয়ন পেয়েছিল। ২০০৩ সালে ২৭ বছরের পর্বতারোহী অ্যারন ব়্যালস্টন আমেরিকার গিরিখাতে একটি পাথরের চাঁইয়ে হাত আটকে যাওয়ায় ফেঁসে গিয়েছিলেন। ৬ দিন কেটে যাওয়ার পর প্রাণে বাঁচতে একটি হাত ছুরি দিয়ে কেটে পরিত্রাণ পান। সেই রুদ্ধশ্বাস ঘটনা নিয়েই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছিল।

কিন্তু, এবার ১২৭ ঘণ্টা নয়। ২৬৪ ঘণ্টা পার হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গপথে (Uttarkashi Tunnel Resque) এখনও জীবনমৃত্যুর দড়ির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাঙালিও আছেন। উদ্ধারকারী দল দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের বের করে আনতে। অথচ এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

আরও পড়ুন: ছবি-বিকৃতি রোধে আইন আসতে পারে: মন্ত্রী

ঠিক এভাবেই বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সুড়ঙ্গ, খনি কিংবা গুহায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাইরের আলোয় বেরিয়ে আসতে পেরে তাঁরা নতুন জীবনের স্বাদ পেয়েছিলেন। এবারেও সেই আশাতেই বুক বেঁধে রয়েছেন দেশবাসী।

চিলির খনিতে ৬৯ দিন

এ পর্যন্ত দীর্ঘতম উদ্ধারকাজ চলেছিল লাতিন আমেরিকার চিলির (Chile) খনিতে (Mine)। ৬৯ দিন খনিতে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয় ৩৩ জন শ্রমিককে। ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট কপার-সোনা খনিতে ধস নেমে ২৩০০ ফুট নীচে আটকে পড়েন তাঁরা। ঘটনার কথা প্রথম জানাই যায় ২২ অগাস্ট। এই ১৮ দিন তাঁরা অভুক্ত অবস্থায় লড়াই চালিয়েছেন। ১৮ দিন পর তাঁদের কাছে খাবার ও পানীয় জল পৌঁছায়। ৬৯ দিন পর নতুন করে একটি টানেলে ক্যাপসুল এসকালেটর ঢুকিয়ে ক্রেনের সাহায্যে তাঁদের বের করে আনা হয়।

থাই গুহায় ১৮ দিন

২০১৮ সালের ২৩ জুন। থাইল্যান্ডের (Thailand) জুনিয়র ফুটবল টিম প্র্যাকটিসের পর কাছের একটি গুহায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেই সময় হড়পা বানে গুহার মুখ আটকে যায়। ভিতরে বন্ধ হয়ে পড়ে ১১-১৬ বছরের ১২ কিশোর এবং ২৫ বছর বয়সের কোচ। তাদের কাছে কোনও খাবারও ছিল না। পাহাড়ের গা থেকে চুঁইয়ে পড়া জল খেয়ে তারা বেঁচে ছিল। ফুটবল টিমের কোচ ছিলেন প্রাক্তন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। তিনি ছেলেগুলিকে যোগাভ্যাস শেখান। এবং বেশিরভাগ সময় শুয়ে থাকতে বলেন, যাতে শক্তিক্ষয় কম হয়।

বিষয়টি যখন জানাজানি হয়, তখন সারা পৃথিবীর বিশেষজ্ঞরা ঝাঁপিয়ে পড়েন বাচ্চাগুলিকে উদ্ধারের কাজে। কিন্তু বাদ সাধে প্রবল বৃষ্টি। যার ফলে গুহাগুলির বিভিন্ন মুখ জলে ভেসে যায়। নৌসেনাও উদ্ধারে বিফল হয়। কারণ তখনও বোঝাই যাচ্ছিল না কিশোর ফুটবলাররা কোথায় আছে! মার্কিন বিমানবাহিনীর উদ্ধার বিশেষজ্ঞরা, গুহা বিশেষজ্ঞ সেখানে বিভিন্ন দল একযোগে কাজ করতে থাকে। দুই ব্রিটিশ গুহা ডাইভার শেষমেশ তাদের দেখতে পান। তারপর ১০ জুলাই তাদের সেখান থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।

অন্য খবর পড়ুন

RELATED ARTICLES

Most Popular