নগাঁও (অসম): ‘এদেশে মন্দিরে ঢোকার অধিকার মাত্র একজনেরই আছে।’ ঠিক এই ভাষাতেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে দেশজুড়ে ধর্মোন্মাদনার আবহ তৈরি করেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী গেরুয়াধারীরা। সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন অযোধ্যার রামনগরীতে। কিন্তু, অসমে বিজেপির সরকার এদিনই কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে একটি মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেয়। মোদির হাত ধরে রামমন্দিরের উদ্বোধনের সঙ্গে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার অঙ্গ হিসেবে রাহুলের মন্দির যাত্রা ঠেকাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন খোদ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
তারই প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী মন্দিরে ঢোকার অধিকার নিয়ে মোদিকে তিরে বেঁধেন। কংগ্রেস নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন ঠিক করে দেবেন কে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন, কে পারবেন না। এদেশে মাত্র একজনেরই মন্দিরে ঢোকার অধিকার রয়েছে, বলেন রাহুল।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার প্রহর গোনা, সেজে উঠেছে অযোধ্যা
এদিন রাহুলকে অসম সরকার পঞ্চদশ শতাব্দীর অসমিয়া বৈষ্ণব সন্ন্যাসী শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থান বটদ্রব সাতরা মন্দিরে পুজো দিতে বাধা দেয়। এর জবাবে গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, আমরা মন্দির দর্শন করতে চেয়েছিলাম। আমি কী অপরাধ করেছি? আমি মন্দির দর্শন করতে বা পুজো দিতে পারব না! আমরা তো কোনও সমস্যা পাকাতে আসিনি। আমরা কেবলমাত্র পুজো দিতে এসেছিলাম।
মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় রাহুল গান্ধী তাঁর সমর্থকদের নিয়ে সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন। উল্লেখ্য, রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা গান্ধীকে ন্যায়যাত্রার কর্মসূচি পরিবর্তন করতে বলেছিলেন রামমন্দির উদ্বোধনের কারণে। তারও আগে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার মিছিলে বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিল। সেখানে কলকাতা টিভিসহ সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় তাণ্ডবকারীরা।
তার কিছুক্ষণ পরেই বাসে করে রাহুল যাওয়ার সময় বিজেপি সমর্থকরা মোদির নামে জয়ধ্বনি এবং জয় শ্রীরাম বলতে থাকেন। তা দেখে রাহুল তাঁদের উদ্দেশে চুমু ছুড়ে দেন এবং সটান বাস থেকে নেমে পড়েন। বিজেপি সমর্থকদের তিনি বলেন, মোহব্বত কি দুকান সকলের জন্যই খোলা। ভারত ঐক্যবদ্ধ হবেই। ভারতই জিতবে।
অন্য খবর দেখুন