নয়াদিল্লি: মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই সুপ্রিম কোর্টে মর্যাদা খোয়াল গুজরাত সরকার। গোধরা কাণ্ডের পর গণধর্ষিতা বিলকিস এতদিন পর ন্যায়বিচার পেলেন সর্বোচ্চ আদালতে।
আরও পড়ুন: ফের গুলি খড়দহে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ১
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত সরকারের ক্ষমা প্রদর্শিত ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে রেহাই করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় এই ১১ জনের বিরুদ্ধে ২১ বছর বয়সি (সেই সময়) বিলকিসকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারকে খুনের অপরাধ প্রমাণিত হয়। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত।
শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়ার কোনও অধিকার গুজরাত সরকারের নেই। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে এই ১১ জনকে ক্ষমা প্রদর্শন করে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। তারপর তাদের বীরের মর্যাদা দিয়ে ঘরে ফেরায় বিজেপির বীরপুঙ্গবরা। তা নিয়ে সুশীল সমাজ থেকে মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী রাজনৈতিক শিবির থেকে তীব্র সমালোচনা ও ধিক্কার ওঠে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রেহাই দেওয়ার নির্দেশের অধিকার বা যোগ্যতাই নেই গুজরাত সরকারের। অপরাধীদের তারাই মুক্তি দিতে পারে, যেখানে তাদের বিচার প্রক্রিয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র অধিকারী মহারাষ্ট্র সরকার।
প্রসঙ্গত, বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের পূর্বতন রায়েরও সমালোচনা করেছে। ২০২২ সালের মে মাসে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অজয় রাস্তোগির নির্দেশেই ১১ অপরাধী গুজরাত সরকারের কাছে অগ্রিম মুক্তির আবেদন জানিয়েছিল। আগের নির্দেশকে বাতিল করে এদিন বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ বলেছে, প্রতারণা বা অসদুপায় অবলম্বন করে অপরাধীরা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়েছিল।
অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার অধিকার নেই, এই মর্মে গুজরাত সরকারকে ফের আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। ২০২২ সালের রায় যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয়, সেই আবেদন জানাতে হবে গুজরাত সরকারকে। একটি তামাদি আইনের উপর ভিত্তি করে ২০২২ সালে অপরাধীদের গুজরাত সরকার রেহাই করে দিয়েছিল।
অন্য খবর দেখুন