বোলপুর: তৃণমূল নেতা অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলের(Anubrata Mondal) ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত (CBI special court)। তবে বৃহস্পতিবার কেষ্টর আইনজীবী জামিনের আবেদন (bail request) করেননি। তাঁর আবেদন ছিল, ভোলে বোম রাইস মিলের (Bhole ban Rice Mill) অ্যাকাউন্ট যেন চালু করা হয়। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দিষ্টভাবে আদালতে আবেদন করতে বলেন আইনজীবীকে। তিনি জানান, তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী সমবায় ব্যাঙ্কে (cooperative bank)২৩১টি অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গ তুলে আদালতে জানান, এর মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনকে দিয়ে সই করিয়ে খোলা হয়েছিল। পাশাপাশি কেষ্টর ব্যবহার করা একাধিক গাড়ির সন্ধান মিলেছে বলেও আদালতে জানায় সিবিআই। এদিন অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানোর আগেই সিবিআইয়ের দুই অফিসার সংশোধনাগারে চলে যান। তাঁরা কেষ্টকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জেরা করেন। তারপর তাঁরা সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ কেষ্টকে নিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দিকে রওনা দেয়।
এদিকে বীরভূমে লাভপুরের(Birbhum Labhpur) দরবারপুরে পুলিশকে বোমা মারার ঘটনায় ধৃত দু’জনকে বৃহস্পতিবার বোলপুর আদালতে তোলা হয়। বুধবার ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুল শেখ (Hasibul Sheikh) এবং সাহিবুল শেখ (Sahibul Sheikh) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে লাভপুরের দরবারপুর গ্রামে ধর্মীয় মেলায় ডিউটি চলাকালীন দাঁড়কা পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অফিসার পার্থ সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিতে গুরুতর জখম হন ওই পুলিশ অফিসার। লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালেই ওই গ্রামে দিদির দূত হিসেবে দিদির রক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন লাভপুরের বিধায়ক (Labhpur MLA) অরিজিৎ সিনহা (Arijit Sinha)। তিনি গ্রামের লোকের কাছে জানতে চান, এখানে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক আছে কি না। তাঁর প্রশ্ন ছিল, এখন আর বোমা, গুলি পড়ে না তো? গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে আশ্বস্ত করেন। তারপর রাতেই ঘটে পুলিশকে বোমা মারার ঘটনা।
আরও পড়ুন: Mid Day Meal: কেন্দ্রীয় দল আসার আগে ‘মিড ডে মিল’ নিয়ে আগাম পরিদর্শন সেরে রাখতে চাই রাজ্য
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমে এক সভায় পুলিশকে বোমা মারার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, কথা না শুনলে আপনারা পুলিশকে বোমা মারুন। তা নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করেন। কিন্তু অনুব্রতর বিরুদ্ধে দল বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বরং কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায় বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) বিষয়টিকে লঘু করে দিয়েছিলেন।