হাসনাবাদ: ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) দেশকে একেবারে গোড়া থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭৫ জনের। এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে কেউ বাবাকে হারিয়েছে আবার কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন। অনেক পরিবার তাঁদের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়েছে। এখন দেহের খোঁজে চলছে মর্গে মর্গে তল্লাশি।এই ট্রেন দুর্ঘটনার চারদিন পরেও নিখোঁজ হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) সঞ্জয় মণ্ডল (Sanjoy Mandal)। ফোন বেজে গেলেও কেউ তুলছে না। উৎকণ্ঠায় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ওই ব্যক্তির পরিবার।
হাসনাবাদ থানার রুপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলা গ্রামের বছর আটত্রিশের সঞ্জয় মন্ডল। কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। গত ছয় মাস আগে শেষ বাড়িতে এসেছিলেন, তারপর যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস শুক্রবারে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্ত উড়িষ্যার বালেশ্বরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সঞ্জয় মণ্ডল। প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্ত্রী আরতি মণ্ডল এবং ছেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল।তারপর থেকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বেজে গেল কেউ ধরছে না খবরও দিতে পারছে না। সব মিলিয়ে হতাশা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছে মণ্ডল পরিবারে। কখন তাদের ঘরের লোকের সঙ্গে কথা হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে গোটা পরিবার।
আরও পড়ুন:Coromandel Express Updates | ৫১ ঘণ্টা পর বালেশ্বরের ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু
শুক্রবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায়, সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও কয়েকটি কামরা। লাইনচ্যুত হওয়া কামরাগুলির সঙ্গে আবার ধাক্কা লাগে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭৫ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। আহত ৭০০-রও বেশি। দুর্ঘটনার রাত থেকে পরদিন, গোটা সময়টাই ব্যয় হয়েছিল উদ্ধারকাজে। শনিবার রাতেই রেলের তরফে জানানো হয়, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে, এবার লাইন সারাইয়ের কাজ শুরু হবে। রবিবার সকাল থেকেই পুরোদমে সেই কাজ শুরু হয়। রাতারাতি ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে বালেশ্বরের বাহানগাতে পাতা হয় নতুন রেললাইন।