বহরমপুর: নবাবের জেলা কী রাজ্যে বাম (Left)পুনরুত্থানে পথ দেখাবে? মুর্শিদাবাদ (MURSHIDABAD) জেলা কংগ্রেসের (Congress) গড় হলেও এখানে বাম আমলে আরএসপি সহ বামেদের ভালো প্রভাব ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বামেরা শূন্য হয়েছে। তারপরে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) মুর্শিদাবাদ জেলায় দুটি ব্লক তথা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল সিপিএম (CPM)। জেলা পরিষদেও আসন পেয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদে এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত বামেরা। বলা চলে রাজ্যের মধ্যে বামেরা মাটি ফিরে পেল মুর্শিদাবাদ জেলায়। রাজ্যে একমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলায় জেলাপরিষদের ২ টি আসন পেয়েছে লাল ঝান্ডার দল। দুটি পঞ্চায়েত সমিতিও দখলে রেখেছে সিপিআইএম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেটাও রাজ্যে প্রথম এবং একমাত্র। ওই ফলাফলে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি সিপিআইএম। তবে জোট হলে আরও ভালো ফলাফল হতো বলে দাবি জেলা সিপিআইএম জেলা সম্পাদকের।
রাজ্যের জেলা পরিষদের আসনগুলিতে বামফ্রন্ট একেবারেই তলানিতে। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলায় জেলা পরিষদের দুটি আসন পেল সিপিআইএম। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকে জেলা পরিষদের আসনে সিপিআইএমের ইমরান হোসেন জয়ী হয়েছেন। এছাড়া রানীনগর দুই ব্লকের সিপিআইএম জেলা পরিষদের প্রার্থী সালমা সুলতানা জয়ী হয়েছেন। এছাড়া রানীনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতি বামেদের দখলে এসেছে। জেলার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সিপিআইএম। পাশাপাশি এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত বাম-কংগ্রেসের জোটের দখলে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ভাঙড়ে ফের বোমাবাজি, চার আইএসএফ সমর্থক জখম
মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৬০১ টি পঞ্চায়েতের আসন পেয়েছে বামেরা। ফলে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলায় লাল আবির উড়লো। যার কারণ হিসেবে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা জানাচ্ছেন যে, ধারাবাহিকভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক সমস্যা, কৃষকদের পাশে থাকা, মহিলাদের সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছে জেলা সিপিআইএম। সন্ত্রাস মুক্ত জেলা গড়তে বাম কর্মী সমর্থকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি ‘চোর’ তাড়াতে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষ বলেই ওই সাফল্য উঠে এসেছে, দাবি জেলা সিপিআইএমের।