প্রথম দিন থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি “অভিযাত্রিক’। সিনেপ্রেমী থেকে সমালোচক সকলের নজর রয়েছে এই ছবিতে। ছবির প্রযোজনার সঙ্গে মধুর ভণ্ডারকরের নাম থাকায় ছবিটি প্রথম থেকেই প্রচারের আলোয় । ছবিটি বহু আগে তৈরি হলেও কোভিড মহামারির কারণে রিলিজ এখনও আটকে। তবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার খবরে চলে আসে ‘অভিযাত্রিক’। এখনও পর্যন্ত এই ছবি বিশ্বের বহু নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে নমিনেশন পেয়েছে ।স্বীকৃতির তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ‘সিয়াটেল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ থেকে তিনটি পুরস্কার অর্জন করে। প্রথম ‘বেস্ট অ্যডপটেড স্ক্রিন প্লে ফ্রম নভেল’ , দ্বিতীয় ‘বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফী, তৃতীয় বেস্ট ইনসপিরেসনাল ফিচার ফিল্ম।
এই ছবি তৈরি হয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শেষ পর্ব নিয়ে। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় যে ছবি কাল্ট হয়ে রয়েছে। ‘অপুর সংসার ‘ যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছে ‘অভিযাত্রিক’। বিশ্বজুড়ে নানান চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি দেখার পর দর্শক ও সিনেমা সমালোচকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় খুশি পরিচালক শুভ্রজিৎ থেকে কলাকুশলী সকলেই। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী, দিতিপ্রিয়া রায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী প্রমুখ।
‘অভিযাত্রিক’ ছবিটি বাংলা সিনেমার সাদাকালো সময়ের স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে। ছবির প্রতিটি ফ্রেম বলে দেয় ছবি তৈরিতে কতটা যত্ন নেওয়া হয়েছে। অভিযাত্রিক ছবিটি ৪০ এর দশকের সময়কে ধরে করা হয়েছে। তাই এই ছবি তৈরির নেপথ্যে টেকনিক্যাল ও প্রোডাকশন ডিজাইন একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল , এমন কথাই জানালেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। কলকাতা টিভির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক খুবই উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, “সিয়াটেল চলচ্চিত্র উৎসব নাম করা ফিল্ম ফেস্টিভাল। এই বছর একশো আটটি ছবি নির্বাচিত হয়েছিল বেশ কয়েক হাজার আবেদনের থেকে।
‘অভিযাত্রিক ‘ ছিল একমাত্র নির্বাচিত ভারতীয় তথা বাংলা ছবি। আমরা ভারতীয় ছবি হিসেবে বিশ্বের সমস্ত বাংলা ভাষায় নির্মিত ছবির প্রতিনিধিত্ব করছিলাম। এই পুরস্কারে আমি ও আমার টিমের সকলেই খুব গর্বিত। প্রথমে নমিনেশনে অভিযাত্রিক এর নাম দেখেই খুশি হয়েছিলাম। এবার তিনটি পুরস্কার পাওয়ায় খুবই আনন্দিত আমরা।”
লকডাউনের কারণেই আটকে রয়েছে এই ছবি। তবে পরিচালক আশা করছেন বাঙালি দর্শক খুব শীঘ্রই সিনেমা হলে ‘অভিযাত্রিক ‘ ছবি দেখতে পাবেন।