তুরস্কে এক ভয়াবহ বাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রাণ হারালেন ১২ জন। তুরস্কের পূর্বে ইরান সংলগ্ন সীমান্তের ভান প্রদেশের মুরাদিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দূর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হলেও কমপক্ষে ২৬ জন আহত হয়েছেন। বাকি ২৬ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে বাস মালিককে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল অর্থ্যাৎ শনিবার গভীর রাতে ৩৮ জন শরনার্থীকে নিয়ে বাসটি তুরস্কের পূর্ব সীমান্ত মুরাদিয়া এলাকা দিয়ে অতিক্রম করছিল। সেই সময় বাসটিতে আগুন লেগে যাওয়ার ভয়াবহ দূর্ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, মৃতেরা প্রত্যেকেই ছিলেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। আফগানিস্তান ছেড়ে ইরান হয়ে তারা পাড়ি দিচ্ছিলেন ইউরোপের উদ্দেশ্যে। যদিও আফগান নাগরিক ছাড়াও বাসটিতে ছিল পাকিস্তানি ও বাংলাদেশের নাগরিকেরাও।
আরও পড়ুন আলকায়দার নিশানায় যোগী! সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে গোয়েন্দাদের জালে ২ সন্দেহভাজন
বিগত কয়েকদিন ধরেই আফগানিস্থানে তালিবানের সঙ্গে আফগান প্রশাসনের তুমুল লড়াই চলছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আফগানিস্থানের ৮৫ শতাংশ এলাকার দখল নিয়ে নিয়েছে আফগানি তালিবানেরা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রীতিমতো কোনঠাসা অবস্থা আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর। সেদেশের ৩৯৮ টি জেলার মধ্যে সিংহভাগই তালিবানি কবলে চলে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতি ফের একবার সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।
আরও পড়ুন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা কমছে মোদির
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তাতে প্রতিদিনই কয়েক হাজার আফগান নাগরিক নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। যার বেশিরভাগটাই চলছে অবৈধভাবে, অন্ধকার রাতে চোরাপথে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে। এশিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ককেই ‘গেটওয়ে’ হিসেবে মেনে থাকেন শরনার্থীরা। আফগানিস্থান ছাড়াও পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাস অধ্যুষিত এলাকার বিপুল মানুষও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বেও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ব্যপক সংখ্যক শরনার্থী ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। এবারেও তুরস্কের এই ঘটনা তারই প্রতিফলন।