ওয়াশিংটন: এখনও অব্যাহত রাশিয়া-ইডক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। এরই মধ্যে মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেলের এই ধারণা বিশ্বজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করেছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর এই উচ্চপদস্থ জেনারেলের ধারণা ২০২৫-এর মধ্যে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ একটি মেমোতে এমনটাই জানান চার-তারকা সম্মান পাওয়া জেনারেল মাইকেল এ মিনিহান (Gen. Michael A Minihan)। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের (Air Mobility Command) দায়িত্বে রয়েছেন।
তবে তাঁর এই বক্তব্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় তা জানিয়ে দিয়েছে পেন্টাগন (Pentagon)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে চিঠিতে ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ দেওয়া হলেও শুক্রবারই এয়ার মোবিলিটি কম্যান্ডের প্রধানের এই বার্তা পৌঁছয় তাঁর জুনিয়ারদের কাছে। ওই বার্তায় জেনারেল লেখেন, আশা করব, আমি যেন ভুল প্রমাণিত হই। তবে আমার গাট ফিলিং, ২০২৫-এ আমরা যুদ্ধে নামব। মেমোতে তিনি আরও লেখেন, আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি তাইওয়ানেও (Taiwan) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে, যা চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Pakistan Bus Accident: ভোরে বাসের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৪১ জনের
এরপর তিনি ওই চিঠিতে এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের ও বিমানবাহিনীর সব কমান্ডারকে কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশগুলোতে আগামী ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে সবাইকে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য সব রকমে প্রস্তুতির বিষয় তাঁকে জানাতে বলা হয়েছে। এমনকী মার্চের মধ্যেই প্রত্যেককেই নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলি মিটিয়ে নেওয়ার উপদেশও দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ প্রস্তুতির লক্ষ্যে প্রয়োজনে যথেষ্ট ঝুঁকি নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এই এয়ার মোবিলিটি কম্যান্ডে প্রায় ১ লাখের ওপর সদস্য রয়েছে।
চিঠিটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডারের মন্তব্য চাওয়া হয়। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, চীনের সঙ্গে সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি মুখ্য চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: India-China border clashes expected : ফের ভারত-চীন সংঘাতের আশঙ্কা
প্রসঙ্গত, চীন তাইওয়ানকে তার বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড মনে করে। তবে স্বশাসিত তাইওয়ান চিনের শাসন মানতে নারাজ। আর এই কারণেই বিগত কয়েক বছর ধরেই নিজেদের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি তাইওয়ানের উপরও ক্রমশ কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে। তাইওয়ান জানিয়েছে তারা শান্তি চায় কিন্তু প্রয়োজনে চীনকে যোগ্য জবাব দিতেও পিছপা হবে না। এদিকে তাইওয়ানের ওপর চীনের এই দাদাগিরি চক্ষূশূল হয়ে উঠেছে বাইডেন সরকারের কাছে।