কলকাতা: গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। বিজেপি সাংসদের আশঙ্কা, ভোটের সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই রক্ষাকবচ চেয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন সৌমিত্র। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High CourtJustice Rajasekhar Mantha Mantha ) সাংসদের গ্রহন করেন। শুক্রবার তার শুনানি হওয়ার কথা।
বুধবার আদালতে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, সোনামুখী থানার আইসি-র বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মামলাগুলির সূত্র ধরেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে কোনও দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই রক্ষাকবচের আবেদন করেছেন সাংসদ।
বাঁকুড়া সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটির বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীগুলির প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে কোষাধ্যক্ষ এবং দুটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় সোনামুখী। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিজেপি। সেই আন্দোলনের সূত্রে সোনামুখীর সভা থেকে থানার আইসিকে বেআইনি তোলাবাজি যুক্ত বলে অভিযোগে করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। তহবিল তছরুপের ঘটনায় আইসি তোলা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। তারপর থেকে সাংসদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্যে থানার আইসির সম্মানহানী করেছে। এরপরই রক্ষাকবচ চেয়ে বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করার আবেদন।
আরও পড়ুন: Amit Malviya | রাহুলকে ব্যঙ্গ করে টুইট, অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এফআইআর কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha elections) বিষ্ণুপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সৌমিত্র। তার পর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সে বছরও বিষ্ণুপুর থেকে জেতেন বিজেপির টিকিটে। ওই বছরই লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর নামে একটি মামলা চলছিল। আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলাতেই ঢুকতে পারেননি সৌমিত্র। এমনকি প্রচারও করতে পারেননি। সৌমিত্র হয়ে সেই বছর প্রচারে নেমে ছিলেন সাংসদের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। এ বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগেও সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অনেক মামলা। তাই গ্রেফতারি এড়াতে আগেভাগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি সাংসদ।