কলকাতা : আরজিকরে অচলাবস্থা কাটাতে তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ বিচারপতির। কিন্তু অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনশনের সিদ্ধান্তে অটল জুনিয়র ডাক্তাররা। পরবর্তী শুনানি ২ নভেম্বর।
হাসপাতালের অচলাবস্থাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য শুনতে চায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন বেলা আড়াইটেতে তাঁদের ডাকা হয়। সেইখানেই অনশনের বিষয়ে আলোচনা হয় বিচারপতি ও হবু ডাক্তারদের। বিচারপতির তরফে জানতে চাওয়া হয়, ‘অধ্যক্ষকে সরানো ছাড়া আর কোনও উপায় আছে কিনা?’
আরও পড়ুন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা না পেয়ে পথ অবরোধ মহিলাদের
এই বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানান, অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা বলতে চান। আদালতের আবেদন অনশন তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে আন্দোলনকারীরা জানায়, তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশনে অটল থাকবেন । আদালতের প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান তাঁদের সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বস্তে চান। আদালতের নির্দেশ আগামী ২৯ অক্টোবর বেলা ১১ টায় স্বাস্থ্য সচিবের সাথে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা তার অফিসে গিয়ে আলোচনা করে সমস্যার কথা বলবেন।
আরও পড়ুন লাগামছাড়া পেট্রোল-ডিজেল, গাড়ি টানতে ভরসা গরুই, টুইটে কেন্দ্রকে খোঁচা শত্রুঘ্নর
বিক্ষভকারীদের এই বক্তব্যে বিচারপতি জানিয়েছে, তাঁদের আন্দোলনে সমস্যা নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই কাম্য। তবে হাসপাতালের রোগীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনে মাইকিং কিংবা র্যালি করা যাবেনা বলেও জানানো হয় । আগামী ২ রা নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন আরজিকরের হবু ডাক্তাররা। অভিযোগ প্রিন্সিপ্যাল স্যার গত তিনমাস ধরে কলেজে ভয় ভীতির পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে বিস্তর চেষ্টা করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।