Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাExclusive: বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, মাস্ক পরতে চাইছে না বাংলার বহু জেলা

Exclusive: বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, মাস্ক পরতে চাইছে না বাংলার বহু জেলা

Follow Us :

কলকাতা: ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত কোভিড বিধি চলবে বলে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷ করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে কেন্দ্রের এই সতর্কবার্তা হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যদিও এই সব সতর্কবার্তার পরোয়া কবে ক’জন করেছেন সেটাই বড় প্রশ্ন৷

আরও পড়ুন: এখনও ভয় দেখাচ্ছে ‘আর ফ্যাক্টর’, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধ

এদিকে দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হতেই সেই বেপরোয়া ভাব জেগে উঠেছে৷ একটু একটু করে মাস্ক নামতে নামতে এখন থুতনির কাছে ঘোরাফেরা করছে৷ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ ‘মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন’ বলতে সরকারের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে৷ তবুও বাংলার বহু জেলা যেন মাস্ক না পরার ‘পণ’ নিয়েছে৷ যেহেতু মোট জনসংখ্যার অর্ধেকও এখনও টিকা পাননি সেহেতু মাস্ক পরা ছাড়া করোনা ঠেকানোর বিকল্প উপায় নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে মাস্ক পরা নিয়ে যে রিপোর্ট এসেছে তা দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷

অধিকাংশ জেলাই আর মাস্ক পরতে চাইছে না৷ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জমা পড়া রিপোর্ট সেই কথাই বলছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মাস্ক পরার ছবি খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়৷ তাতে দেখা গিয়েছে, বহু জেলার ৫০ শতাংশ মানুষও মাস্ক পরছেন না৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর দিনাজপুরের৷ সেখানে মাস্ক পরছেন মাত্র ১৮.৫১ শতাংশ মানুষ৷ অথচ জেলার কোভিড পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়৷ এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৩৮৯ জন৷ নতুন করে আরও ৫ জন সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন৷ এর পরই আছে মুর্শিদাবাদ (৩৪.৬৩ শতাংশ), মালদহ (৩৪.৭২ শতাংশ), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৯.৬১ শতাংশ)৷

আরও পড়ুন: রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বাড়ল, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

মাস্ক পরার নিরিখে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর৷ জেলার ৮৮.১৬ শতাংশ মানুষ ঠিক মতো মাস্ক ব্যবহার করেন৷ এর পর আছে দার্জিলিং (৮৭.০৪ শতাংশ), জলপাইগুড়ি (৮৫.৭১ শতাংশ), বীরভূম (৭৮.৮০ শতাংশ), হুগলি (৭৪.৪২ শতাংশ), হাওড়া (৭২.৯৩ শতাংশ), আলিপুরদুয়ার (৭১.০২ শতাংশ)৷ তুলনায় পিছিয়ে কলকাতা৷ এখানে মাস্ক পরছেন ৬৮.৮৬ শতাংশ মানুষ৷ তার পর আছে উত্তর ২৪ পরগনা (৬৮.৩১ শতাংশ)৷

পরিসংখ্যান দেখে বিশেষজ্ঞদের একটাই মত৷ আত্মতুষ্টিতে ভোগা বন্ধ করে সচেতন এবং সতর্ক হবে৷ নইলে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কী কান দেবে সাধারণ মানুষ? সেটাই বড় প্রশ্ন৷

RELATED ARTICLES

Most Popular