কলকাতা: সার্ভার হ্যাকের আশঙ্কায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দফতর আচার্য সদনে ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করল সিবিআই। বাইরে থেকে কোনও ভাবেই যাতে এই রুমের ডেটা অ্যাক্সেস না করা যায় তাই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সোমবার সিবিআই দুটি ফাইলও উদ্ধার করেছে। যেখানে ২০০ জনের নাম রয়েছে। তবে, তাঁরা কারা সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিবিআই। এর আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে এই ভবনের ডেটা রুম সিল করেছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার রাত ১২টার পর আচার্য সদনের দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বলা হয় বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত আচার্য সদনে কেউ ঢুকতে পারবেন না। আচার্য সদনের ভিতরে এবং বাইরে বুধবার মাঝ রাত থেকেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারা। বৃহস্পতিবার অনেকে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান। পরে অবশ্য আদালত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়। জানানো হয় এসএসসির চেয়ারম্যান, সচিব চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, প্রোগ্রাম হেড এবং দুজন স্টেনোগ্রাফার কেবল ঢুকতে পারবেন।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা পদত্যাগ করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার৷ তার আগেই অবশ্য সরকার চেয়ারম্যান বদলের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল। রাতে মামলাকারীদের আইনজীবীরা বিচারপতিকে জানান, সরকার নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের ঘনিষ্ঠরা কমিশন দফতরে যাতায়াত করছেন। ফলে নথিপত্র লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। আইনজীবীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। তাঁদের আবেদন মেনে আদালত রাত থেকেই আচার্য সদনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: বোলপুরে ফিরতেই কেষ্টকে তলব সিবিআইয়ের, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ডাক
এরপর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশন দফতরের যে চারটি ঘর সিবিআই সিল করে দিয়েছে সেই ঘরগুলিই কেবলমাত্র সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকবে। ভবনের বাকি ঘরগুলি ব্যবহার করতে পারবেন কর্মচারীরা। এছাড়াও জানানো হয়, বাইরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে সিআরপিএফ। তবে, সিল করা ডেটা রুমের বাইরে ২৪ ঘণ্টা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা পাহারা দেবেন।