কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প টেলিনিউরো মেডিসিন ‘স্বাস্থ্যইঙ্গিত’ স্ট্রোকের চিকিৎসায় রীতিমতো বিপ্লব এনে দিয়েছে। এমনটাই দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্যইঙ্গিত অসংখ্য মানুষের কাছে আধুনিকতম চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দিচ্ছে। আগামিদিনে এই চিকিৎসা স্ট্রোক পরবর্তী প্রতিবন্ধকতা থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দেবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মনে করছেন। তাঁদের আরও দাবি, সারা দেশের মধ্যে এই প্রথম টেলিমেডিসিনকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আধুনিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, আগামিদিনে এটি জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের কথাও হয়েছে। তিনি বলেন স্বাস্থ্যইঙ্গিত আগামিদিনে সারা দেশকে টেলিমেডিসিনের দিক থেকে নতুন দিশা দেখাবে।
মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তিনজন সেরিব্রাল স্ট্রোকের রোগী স্বাস্থ্যইঙ্গিতের মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর এদিন সকালে ৬৫ বছরের গোপাল মণ্ডল ডান হাতে পক্ষাঘাত নিয়ে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভরতি হন। তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। খুব দ্রুত সিটিস্ক্যান করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যইঙ্গিতের মাধ্যমে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউটে। সেখানকার বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ পেয়ে রোগীর থ্রম্বলাইসিস করা হয়। রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বাকশক্তি ফিরে পান।
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে শতাব্দী রায়
এদিনই তমলুক হাসপাতালে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে দুই মহিলা ভরতি হন। চিকিৎসকরা তাঁদেরও সিটি স্ক্যান করে দ্রুত তা পাঠিয়ে দেন বাঙ্গুর ইনস্টিটিউটে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তমলুক হাসপাতালের ডাক্তাররা চিকিৎসা করে দুজনকেই সুস্থ করে তোলেন।