আগরতলা: কমিউনিস্ট-মুক্ত ত্রিপুরা (Communist-free Tripura) গড়ে তোলার ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার ভোটের ঢাকে কাঠি দিতে দুটি পদযাত্রার সূচনা করেন শাহ। সেখানে এক জনসভায় শাহ বলেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটের (Tripura Assembly Election 2023) লক্ষ্যই হবে এ রাজ্যকে কমিউনিস্ট-মুক্ত করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের ভোটে ত্রিপুরা থেকে কমিউনিস্টদের উৎখাত করাই হবে প্রধান কাজ। আগে এখানে সাধারণ মানুষকে দিনের প্রতিটি কাজের আগে কোনও ক্যাডারের অনুমতি নিতে হতো। এখন দেখুন, কোথাও কমিউনিস্টদের টিকিটি মিলবে না।
অমিত শাহ আরও বলেন, বিজেপি সরকার ত্রিপুরা থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে দিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ত্রিপুরাকে আগে মানুষ মাদক পাচার, হিংসা, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য চিনত। এখন এই রাজ্যকে উন্নয়ন, অসাধারণ পরিকাঠামো, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, বিনিয়োগ এবং জৈব খামারের জন্য প্রশংসা করে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ভোটার বাড়ল ১.২৪ শতাংশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য হল, উন্নত ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা, সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। বিজেপির লক্ষ্য রাজ্যের প্রতিটি যুবকের চাকরি। এখানেই যাতে তারা চাকরি পায় আমরা তাই চাই। প্রতিটি মহিলা যেন নিরাপদ বোধ করেন। সুরক্ষিত থাকেন। আদিবাসীরা যেন তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। প্রতিটি বাড়িতে যেন শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছায়। সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতি।
একদিনের ত্রিপুরা শহরে এদিনই তাঁর আসার কথা থাকলেও বুধবার রাতেই তিনি গুয়াহাটি পৌঁছে যান। কারণ, রাত ১০টা নাগাদ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে আগরতলা যাওয়ার পথে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য বিমানটিকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। কারণ ওই রাতে আগরতলা বিমানবন্দরে বিমান নামানোর মতো দৃশ্যমানতা ছিল না। সেখানেই রাত্রিযাপন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এবছরেরই ফেব্রুয়ারি-মার্চে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামে ভোট হবে। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই কর্মসূচির মুখেই গত মঙ্গলবার সাবেক বামশাসিত ত্রিপুরার সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বাড়ির সামনে বিজেপি এবং সিপিএমের ধুন্ধুমার মারামারি হয়। গোমতী জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভোটের আগে থেকেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। কারণ, ত্রিপুরা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস ও সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল। এখন বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসও এই রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে লড়াইটা জমজমাট হবে বলেই ধারণা।