কলকাতা: আগামী ২৯ মার্চ তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠনের (Trinamool student youth organization) যৌথ সমাবেশ নিয়ে জট কাটল। শহীদ মিনার ময়দানে(Shaheed Minar Maidan) তৃণমূল ছাত্র-যুবদের সমাবেশের অনুমতি দিল সেনাবাহিনী( Army)। অনুমতি পেয়েই শনিবার বিকেল থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদলের ছাত্র-যুবরা। সেনাবাহিনী শর্তসাপেক্ষে তাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই সমাবেশের প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র-যুবদের ওই কর্মসূচির জন্য সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ২৯ এবং ৩০ মার্চ অবস্থান না করার অনুরোধ জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। ওই অবস্থানস্থলেই ৪৪ দিন ধরে অনশন চালাছিলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। শনিবার যৌথ মঞ্চ অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেও ওই জায়গা থেকে অবস্থান তুলতে নারাজ। মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এদিন বলেন, অবস্থা তোলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আদালতের নির্দেশে আমরা অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছি। আদালত বললে সরে যাব। পুলিশের কথায় আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।
আরও পড়ুন:Jyotipriya Mallick | ফের সিপিএমকে বয়কটের ডাক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গলায়
কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবারই তাদের কর্মচারীদের জন্য আরও ৪শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যে কর্মচারীদের ডিএর ফারাক দাঁড়াল ৩৬শতাংশ বিন্দু। এই প্রসঙ্গে মঞ্চের নেতা ভাস্কর বলেন, এই ফারাক ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। অথচ রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। তাই আমরাও আন্দোলনে অনড় থাকছি। যতই দমনপীড়ন চালাক না কেন সরকার, আমাদের আন্দোলন চলবে।
এদিন শহীদ মিনার ময়দান পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের ছাত্র-যুব নেতারা৷ শহীদ মিনার ময়দানে দুটি ঢোকার পথ। একটি মাতঙ্গিনী মূর্তির(Matangini statue) পাশ দিয়ে। অপরটি কবাডি ক্লাবের পাশ দিয়ে। তৃণমূলের সভামঞ্চ হবে কবাডি ক্লাব সংলগ্ন মেয়ো রোডের দিকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্র-যুবদের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নতুন ভাবে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ওই দিনই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে বামফ্রন্ট মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে সেই মিছিল যাবে ধর্মতলায় লেনিনের মূর্তি(Lenin in Dharamtala) পর্যন্ত। বাম নেতারা জানিয়েছএন পুলিশ অনুমতি না দিলেও ওই দিন মিছিল হবে।