তিরুবনন্তপুরম: কেরলে সিপিএমের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ আনল কংগ্রেস (Indian National Congress)। শুক্রবার কেরলের ভোটপর্ব মিটতেই কংগ্রেস সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাহুল গান্ধীর কাছের লোক বলে পরিচিত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল (K. C. Venugopal) শনিবার অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের মদতে সিপিএম কেরলে ভোট লুঠ করেছে। তাঁর অভিযোগ, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোটারদের হেনস্থা করা হয়েছে। সেই কারণেই ভোটদানের হার কম হয়েছে।
বেণুগোপাল কেরলের (Kerala) আলাপ্পুঝা কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন। দক্ষিণের এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফের লড়াই। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হয়। ২০টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল সিপিএম। যদিও বিধানসভা দখলে রয়েছে সিপিএমেরই (CPIM)। সিপিআই, ফব এলডিএফে থাকলেও আর এক বাম শরিক আরএসপি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের শরিক।
আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে পরীক্ষার খাতায় ‘জয় শ্রীরাম’, তাতেও মিলল নম্বর
রাহুল গান্ধী এবারও কেরলের ওয়েনাড থেকে লড়াই করেন। গত লোকসভা ভোটে তিনি উত্তরপ্রদেশের আমেথি এবং কেরলের ওয়েনাড থেকে প্রার্থী হন। আমেথিতে তিনি বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। ওয়েনাডে জেতেন। ওয়েনাডে এবার এলডিএফের প্রার্থী ছিলেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজা। সিপিএম এবং সিপিআই রাহুলের ওয়েনাডে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করেই রাহুল ওয়েনাডে প্রার্থী হন। তখন থেকেই সিপিএম-সিপিআইয়ের সঙ্গে কংগ্রেসের টক্কর চলে। প্রচারে নেমে কংগ্রেস, সিপিএম দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। মৃদুভাষী বলে পরিচিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)-ও প্রচারে বেরিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। পাল্টা আক্রমণে নামে কংগ্রেসও।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কেরলে ভোট পড়েছিল ৭৮ শতাংশ। এবার ভোট পড়েছে তার থেকে প্রায় ছয় শতাংশ কম। রাহুল ঘনিষ্ঠ বেণুগোপালের অভিযোগ, বহু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম খারাপ ছিল। যে সব এলাকায় কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী, এরকম প্রায় ৯০ শতাংশ বুথে ইভিএম খারাপ ছিল।
আরও খবর দেখুন