কলকাতা : বজবজ-এ বিস্ফোরণ (Budge Budge Blast) ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড (Bomb Squad) এবং সিআইডি টিম (CID Team)। এলাকা থেকে উদ্ধার আরও ৫৭ কেজি বাজি। বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর থেকে পুলিশ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে জুলুম করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ‘পুলিশি তাণ্ডবের’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্লাকার্ড পোস্টার হাতে চম্পাহাটির (Champahati) বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা কোনও কারখানা নয়। একজনের বাড়িতে কিছু বাজি মজুত ছিল, পুজো করার সময় ঘরে ধুনোর আগুনের ফুলকি বাজিতে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই ঘটনাকে কারখানায় আগুন বলে মনে করে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে এলাকার বেশ কিছু বাজি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ বাজি বিক্রি করেই এখানে পেট চলে এলাকার বাসিন্দারা। এখানে বাজি তৈরি হত না সিজনের সময় বাজি বিক্রি করা হয়। তারপর সেই বাজি বেঁচে গেলে কোথাও কোথাও ঘরে রাখা হয়। সেটা যাতে না রাখা হয়। তার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল ক্যাম্পেনিং। তারই মধ্যে ঘটে যায় এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারের ওই বিস্ফোরণে এক বালিকা-সহ তিন মহিলা মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনার পরেই এলাকায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। দোকান থেকে প্রচুর বাজি ও বাজির মশলা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বেআইনি বাজি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা থেকে মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বেঁচু ছাড়া বাকি সকলেরই আলিপুর আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বেচু মন্ডলের আট দিনের পুলিশ হেফাজত। বেচু মন্ডল বাজি কারবারি। তার বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
উল্লেখ্য গত ১৬ মে দিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২১ মে বজবজে বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। রাজ্যে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।