Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাGangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলার কমিটিতে কেন শুভেন্দু? হাইকোর্টে শুনানি দুপুরে

Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলার কমিটিতে কেন শুভেন্দু? হাইকোর্টে শুনানি দুপুরে

Follow Us :

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকাকে সামনে রেখে সোমবার থেকে শুরু হল গঙ্গাসাগর মেলা৷ একদিকে যখন পুলিস ও প্রশাসনিক স্তরে কোভিড সংক্রমণ লাগাম দেওয়ার সবরকম প্রস্তুতি চলছে, তখন রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করলেন তিন আবেদনকারী৷ মেলা সংক্রান্ত তিনটি মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা৷ যার মধ্যে রয়েছে তিন সদস্যের কমিটিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতির বিরোধিতা৷ আবেদনকারী কবিরুল ইসলামের বক্তব্য, ‘এই কমিটির সদস্যদের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কেউ আমলা, কেউ সমাজকর্মী, কেউ রাজনীতিবিদ। এটা আলঙ্কারিক কমিটি। এতে কাজ হবে না। যে উদ্দেশে আদালত কমিটি গঠন করেছে তা বৃথা যাবে৷’ সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ওই পিটিশনের শুনানি হবে৷

শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে জানায়, করোনাবিধি মেনে মেলার আয়োজন করতে হবে৷ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করে দেয় আদালত৷ তাতে রয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে বিরোধিতা করে পিটিশন দায়ের করেছেন কবিরুল ইসলাম, অজয় কুমার দে এবং প্রমোদ ভর্মা৷

আবেদনকারীরা পিটিশনে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্য কাউকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেনি৷ কাজেই কমিটির গঠন নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠে আসছে৷ তাছাড়া গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন দেখার জন্য ২০ বছর আহে রাজ্য সরকার ১২ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল৷ ২০০১ সালের ১৮ ডিসেম্বর সেটি তৈরি হয়৷ কাকদ্বীপ, সাগরের বিধায়ক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য, পূর্ত, পরিবহন ইত্যাদি দফতরের আমলাদের নিয়ে ওই কমিটি তৈরি হয়েছিল৷ কোভিড পরিস্থিতিতে ওই কমিটিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের রাখা হলে জনস্বাস্থ্যের দিকে আরও নজর রাখা যেত৷

আরও পড়ুন: Covid-19: দেশে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, মহারাষ্ট্রের পরই দুইয়ে বাংলা

শুভেন্দুর মতো রাজনৈতিক নেতাদের কমিটিতে রাখা নিয়েও পিটিশনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কমিটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকলে তাঁরা এমন কিছু মন্তব্য করতে পারেন যা অন্যের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে৷ অথবা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে৷ তাছাড়া যাঁদের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাঁদের এসব কাজের অভিজ্ঞতা নেই৷ আদালত নির্দেশিত দায়িত্ব তাঁরা ঠিক মতো পালন করতে পারবে না৷

RELATED ARTICLES

Most Popular