নয়াদিল্লি: ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট সে তরী। ঠিক এই রকমই হাল দিল্লিতে ইডির লকআপের (ED Lockup)। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে চার-চারটি (Four) লকআপই এখন ভর্তি (Full)। কাজেই এখনই নতুন করে আর কাউকে গ্রে্ফতার (Arrest) করার ঝুঁকি নিচ্ছে না ইডি। এমনটাই জানা যাচ্ছে ইডির বিভিন্ন সূত্র থেকে।
এখন আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে্ (Ed Custody) রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), অনুব্রতর হিসাবরক্ষক (Accountant) মণীশ কোঠারি (Manish Kothari), দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM of Delhi) মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) এবং কেসিআর-কন্যা কবিতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ পিল্লাই। অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২১ মার্চ। ইডি যদি আর হেফাজত না চায়, তাহলে এরপর হয়ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাবে আদালত। মণীশ সিসোদিয়ার ইডি হেফাজতের মেয়াদও একই দিনে ফুরিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দুটি লকআপ ২১ মার্চ ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একান্তই যদি কাউকে গ্রেফতার করতে হয়, তা করতে হবে ২১ মার্চের পর। ইডির আনাচে কানাচে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, কেসিআর-কন্যা কে কবিতাকে ২১ মার্চের পরই ইডি গ্রেফতার করতে পারে।
বাংলার গরু পাচার এবং শিক্ষা দুর্নীতির তদন্ত নিয়েই জেরবার দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন : ED Summoned Rice Mill Owners | কেষ্ট ঘনিষ্ঠ দুই চালকল মালিককে তলব ইডির
তবে শিক্ষা দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কেউ এখনও ইডির হেফাজতে নেই। সকলেই জেলবন্দি। এটা ইডির পক্ষে কিছুটা হলেও সুখের খবর। কিন্তু গরু পাচার-কাণ্ডে একের পর এক লোকজনকে তলব করেই চলেছে ইডি। গত বুধবারই ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কথা বলে ওইদিন হাজিরা এড়িয়েছেন। ফের তাঁকে তলবের নোটিস দিয়েছে ইডি। ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বোলপুরে শোনা যাচ্ছে, এই দফাতেও সুকন্যা হাজিরা এড়াতে পারেন। তার মধ্যেই বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। কয়েকজনকে ২০ মার্চের মধ্যেই হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছে। ইডির পরিকল্পনা ছিল, দিল্লিতে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু সুকন্যা হাজিরা না দেওয়ায় সেটা এই দফায় সম্ভব হচ্ছে না। কোনও কোনও মহলে জল্পনা চলছে, অনুব্রতর ইডির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁর মেয়ে সময় নিচ্ছেন হাজিরার ব্যাপারে, যাতে বাবার সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি না বসতে হয়। যাই হোক, ইডিরও এখন শিরে সংক্রান্তি। লকআপ যে ভরে উঠেছে।