কংগ্রেস সভাপতি পদে তিনি যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। সে ব্যাপারে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ইতিমধ্যে অনুমতি নিয়ে এসেছেন শশী থারুর। দলের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলের ব্যাপারে বারবার সওয়াল করা তিরুবনন্তপুরমের সাংসদের সভাপতি পদের দৌড়ে নামা অবশ্য খুব একটা ভাল ভাবে নেয়নি গান্ধী পরিবার এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা চাইছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী করতে। গেহলট অবশ্য দ্বিধায় আছেন।
কারণ তিনি জানেন কংগ্রেস সভাপতি হলেও তাঁকে কাজ করতে হবে সোনিয়া-রাহুলদের নির্দেশ মেনে। অথচ হাত থেকে রাজস্থানের গদি চলে যাবে রাজ্য কংগ্রেসের রাজনীতিতে তাঁর বিরোধী শচীন পাইলটের হাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্য তিনি এড়িয়ে যেতে পারেননি। তবে গেহলট জানিয়েছেন, তিনি শেষবারের মতো রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী চান গদি ধরে রেখে কংগ্রেস সভাপতি হতে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে তাঁর ঘনিষ্ঠ কারওকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্বে আনতে। অন্যদিকে কংগ্রেসের একটা অংশ চাইছে, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিতে। যাতে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এড়িয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস। সেই আশঙ্কায় অবশ্য রয়েছেন গেহলট নিজেও। সেকারণেই তিনি চাইছেন রাহুলকে বুঝিয়ে রাজি করাতে।
বুধবার সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই গেহলট উড়ে যাবেন কেরলে। সেখানেই ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্বে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি শেষবারের মতো রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। নেহাতই তিনি রাজি না হলে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন। এদিকে বুধবার আরও ৩ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি রাহুলকে সভাপতি করার দাবিতে প্রস্তাব পাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবারের কারোকে সভাপতির পদে রাখার ব্যাপারে দলের নানা মহল সক্রিয় হলে অন্তত খানিকটা আশ্বস্ত হবেন গেহলট নিজেও, নিশ্চিন্ত কংগ্রেস রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞজনেরা।