আসানসোল: বুথ দখল করতে আসা তৃণমূল (TMC) কর্মীদের তাড়া করলেন সিপিএম (CPM) সমর্থকরা। তাড়া খেয়ে শাসকদলের ওই কর্মীরা যে যেদিকে পারে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে এই ঘটনা রানিগঞ্জ (Raniganj) ব্লকের চলবলপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে ৩৩ নম্বর বুথের। সিপিএম কর্মীদের বক্তব্য, সকাল থেকে ভোট ভালোমতোই চলছিল, বেলা গড়াতেই শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা হঠাৎই বুথ দখল করতে আসে। আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। প্রতিরোধ গড়ে তোলায় তারা পালায়। ভোটারও ওই দুষ্কৃতীদের তাড়া করেন।
এদিন বর্ধমান এবং আসানসোলে অনেক এলাকাতেই শাসকদলের লোকজন বুথ দখল করতে বা ছাপ্পা দিতে এসে এভাবেই বাম কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম গত কয়েকদিন ধরেই বলে আসছিলেন, ২০১৮ সাল এবং ২০২৩ সালের এক নয়, এটা যেন শাসকদল মনে রাখে। এবার ভোট লুঠ করতে এলে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
এদিন সকাল থেকেই আসানসোলের অনেক বুথে বাম কর্মীদের সেই প্রতিরোধের মেজাজে দেখা যায়। রানিগঞ্জের সিপিএম কর্মীরা জানান, তারা শুক্রবার রাতেই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন শাসকদলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না। সেইমতোই চলবলপুরের ওই বুথে বাম কর্মীরা শাসকদলের দুষ্কৃতীদের তাড়া করেন।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | চন্দ্রকোনায় সিপিএম প্রার্থীর চোখে লঙ্কাগুড়ো
শনিবার সকালে ভোট পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে। রাজনৈতিক হানাহানিতে দুপুর পর্যন্ত অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে বহু। বিরোধীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বহু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী তো দূরের কথা এমনকি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীরও দেখা মেলেনি। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 কর্মীদের তাড়া করলেন সিপিএম (CPM) সমর্থকরা। তাড়া খেয়ে শাসকদলের ওই কর্মীরা যে যেদিকে পারে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে এই ঘটনা রানিগঞ্জ (Raniganj) ব্লকের চলবলপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে ৩৩ নম্বর বুথের। সিপিএম কর্মীদের বক্তব্য, সকাল থেকে ভোট ভালোমতোই চলছিল, বেলা গড়াতেই শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা হঠাৎই বুথ দখল করতে আসে।){kind=link}