চেন্নাই: বিচারপতির বিজেপি যোগ নিয়ে জটিলতা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্রুত শুনানি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে লেক্ষমানা চন্দ্র ভিক্টোরিয়া গৌরীর (Victoria Gowri) নাম সুপারিশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) সেই সুপারিশ মেনে তাঁর নিয়োগে ছাড়পত্রও দিয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইট করে গৌরী-সহ ১১ জন নতুন নিযুক্ত হচে চলা বিচারপতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এরই মধ্যে গৌরীর নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চেন্নাইয়ের কয়েকজন আইনজীবী। তাঁদের অঊিযোগ, গৌরী বিজেপির মহিলা মোর্চার (BJP Mahila Morcha) সাধারণ সম্পাদক। তিনি অতীতে একাধিকবার খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে ঘৃণাভাষণ দিয়েছেন। তিনি বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠবে। ওই আইনজীবীরা তাঁর নিয়োগে আপত্তি করে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত মঙ্গলবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে। এই ঘটনা রীতিমতো নজিরবিহীন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Mohan Bhagwat: যখন সংখ্যালঘু হওয়া অপরাধ?
সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Y. Chandrachud, Chief Justice of India) মামলা আগামিকালই শুনতে সম্মত হয়েছেন। বিচারপতিদের নিয়োগের সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এই কলেজিয়াম পদ্ধতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের টানাপড়েন চলছে অনেক দিন ধরে। কেন্দ্র এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে ওই কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাখার কথা জানিয়েছেন। এই টানাপড়নের আবহেই গৌরীর নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক সামনে এল। সুপ্রিম কোর্টের এই কলেজিয়ামে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি কে এম জোসেফ। গত ১৭ জানুয়ারি কলেজিয়াম মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে গৌরীর নাম সুপারিশ করে। তার বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং কলেজিয়ামকে চিঠি দেন চেন্নাই হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা এর সঙ্গে গৌরীর দুটি ইন্টারভিউয়েরর লিঙ্কও দিয়েছেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি বইয়ে তিনি লেখেন, খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিতকরণ সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। আরও অভিযোগ, বিজেপির নেত্রী হিসেবে গৌরী ঘৃণা ভাষণ দিয়ে থাকেন। এরকম মহিলাকে বিচারপতি করা হলে বিচার ব্যবস্থার গায়ে কলঙ্কের দাগ পড়বে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবারই মামলাটি শুনতে চেয়েছেন