বেঙ্গালুরু: শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজে নেমে পড়লেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দ্বিতীয়বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) হিসেবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। শপথ নিয়েই সময় নষ্ট না করেই কাজে নেমে পড়লেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের তরফে যে পাঁচ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পূরণের কাজে নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ইস্তাহারে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সবগুলি পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বলবৎ হবে যা এক সপ্তাহের মধ্যে ডাকা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকেও দোষারোপ করেন রাজ্যের আর্থিক ক্ষতির জন্য।
কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ১৫তম অর্থ কমিশনের তরফে ৫৪৯৫ কোটি টাকার যে বিশেষ আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ছিল, তা রাজ্য পায়নি।কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্যই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যকে। কর্ণাটকের নতুন কংগ্রেস সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পরিবারের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং সরকারি বাসে মহিলাদের কোনও টিকিট লাগবে না। নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন মন্ত্রীদের বৈঠকের পরই জানা গিয়েছে এবার কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে।
আরও পড়ুন: Ibrahim Ali Khan | Bolly Debut | ইব্রাহিমের বলি ডেবিউ
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানান, প্রথমেই রাজ্যে শুরু হবে গৃহ জ্য়োতি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ । তিনি বলেন, এই গৃহ জ্যোতি প্রকল্পের অধীনে সকলকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এর জন্য় রাজ্যের মোট খরচ হবে ১২০০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গৃহ লক্ষ্মী প্রকল্প বাস্তবায়নের কথাও ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সমস্ত মহিলাদের মাসিক ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি কর্নাটকের মহিলাদের বাসে যাতায়াতের জন্য এবার থেকে বিনামূল্যে। বাসে আর লাগবে না টিকিটের ভাড়া, জানান মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শুধু আই স্নাতক পাশ ছাত্রছাত্রীদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই না। আমরা যা বলি তাই করি।
কর্ণাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। কার্যতই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। কাজে আসেনি মোদি ক্যারিশ্মাও। কিন্তু জয়ের পরও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে বেশ কয়েকদিন টানাপোড়েন চলে। দিল্লিতে ১০ নম্বর জনপদে চলে রাহুলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও। তারও পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার দিকে সংখ্যাগুরু বিধায়কের সমর্থন থাকলেও শিবকুমারও এই দৌড়ে পিছিয়ে ছিলেন না। কারণ, তিনি জনতা দল ভেঙে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা। এরপর আসরে নামতে হয় খোদ সনিয়া গান্ধীকে। সনিয়ার জাদি বলেই শেষে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন শিবকুমার। একপ্রকার কংগ্রেসের স্বার্থে আত্মত্যাগে রাজি হলেন শিবকুমার। শেষ অবধি বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হবেন সিদ্দারামাইয়াই। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। শনিবারই কর্নাট-রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন দুই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।