তিরুবনন্তপুরম: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বানানো বিবিসি-র (BBC) তথ্যচিত্রকে ভুয়ো এবং অপপ্রচার হিসেবে দেগে দিয়ে তা ভারতে সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা সত্ত্বেও কেরলের (Kerala) কংগ্রেস (Congress) ইউনিট বৃহস্পতিবার এই তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং করল। অবশ্য গুজরাত দাঙ্গা এবং মোদির রাজনীতি নিয়ে দুই খণ্ডের এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র এর মধ্যেই দেশের একাধিক বিরোধী দল জনসমক্ষে সম্প্রচার করেছে। কেরলে বিরোধী দল কংগ্রেস, ক্ষমতায় থাকা সিপিএমও (CPM) এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
অতি সম্প্রতি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির (AK Antony) পুত্র অনিল কে অ্যান্টনি দলত্যাগ করেছেন। বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানের সঙ্গে সহমত নন তিনি, তাঁর মতে তথ্যচিত্রটি ‘বিপজ্জনক’, এতে ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হতে পারে। অনিলের এই মন্তব্যকে ‘অপরিণত’ বলে পাল্টা দিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব কি এতটাই ঠুনকো যে তা এক তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
আরও পড়ুন: BBC Documentary Ban: বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে ভারতের সরাসরি নিন্দা করল না আমেরিকা
বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপুরমের শাঙ্গুমুঘম সৈকতে দেখানো হল বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি। এর আগে দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) তথ্যচিত্রটির স্ক্রিনিং করে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (SFI)। তাতে কোনও রকম পুলিশি হস্তক্ষেপ হয়নি। তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেন, সত্য উজ্জ্বল হয়। এর বেরিয়ে আসার এক বিচ্ছিরি অভ্যেস রয়েছে। তাই কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা, নিপীড়ন, মানুষকে ভয় দেখানো সত্য বেরিয়ে আসাকে আটকাতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, দুই অংশে ভাগ করা বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্রে তুমুল সমালোচনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ২০০২ সালের গুজরাত (Gujarat) দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা এই তথ্যচিত্রের উপজীব্য বিষয়। ইউটিউবে প্রকাশিত হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে।