নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) এবার গোটা রাজ্য মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ অযোগ্যদের শিক্ষক পদে বহাল রাখার জন্য শূন্যপদ তৈরিতে সায় দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা (State Cabinet)। তাই গোটা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। একইসঙ্গে বিজেপি (BJP) পরিষদীয় দল সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। তার কারণ বিরোধী দলের আনা মুলতুবি প্রস্তাবের উপর আলোচনার দাবি খারিজ করে দেওয়া।
সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। বিরোধী দলনেতা জানান, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পদে বহাল রাখার জন্য শূন্যপদ তৈরিতে সায় দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। ওই বিষয়ে আলোচনার দাবি জানান তিনি। কিন্তু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, এই যুক্তি দেখিয়ে প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার (Speaker)।
এরপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার (Legislative Assembly) অধিবেশন কক্ষ। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা (MLA)। বিরোধী দলনেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুলতুবি প্রস্তাবের প্রস্তাবক হিসাবে নাম ছিল পদ্ম শিবিরের বিধায়ক গোপাল সাহা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট ৪ জনের।
স্পিকার এই ৪ জনের বক্তব্য শুনতে চান। বিরোধী দলনেতার (Opposition Leader) দাবি, ৪ জন যখন বিধানসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন স্পিকার তাঁদের বলতে বলেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সে সময় বিধানসভায় আলোচনার পরিবেশ ছিল না। সোজা কথায় তিনি বুঝিয়ে দেন, সভার শৃঙ্ক্ষলারক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন স্পিকার।
অপরদিকে শাসক পক্ষের বক্তব্য স্পিকার ৪ জনের নাম বলার পরেও কেউ বক্তব্য রাখেননি। তাই তাঁর নির্দেশে জানান, এই ৪ জন অধিবেশনের পরবর্তী ২ দিন কোনও প্রস্তাব আনতে পারবেন না। প্রস্তাবে সইও করতে পারবেন না। যার তীব্র বিরোধিতা করছেন বিজেপি বিধায়করা।