আজ বুধবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন। বিদায়ী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন। ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে এই অনুষ্ঠানে দলের সমস্ত সাংসদ, পদাধিকারী, এআইসিসি সদস্য, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সোনিয়া গান্ধী ছাড়া রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও হাজির থাকবেন আজ। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী দিল্লি আসছেন। দীপাবলি এবং দেওয়ালির জন্য তিনদিন ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবার যাত্রা শুরু হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
গত ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। প্রার্থী ছিলেন মল্লিকার্জুন ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের আর এক সাংসদ শশী থারুর। মল্লিকার্জুন অবশ্য বিপুল ভোটে জয়ী হন। তিনি সাত হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। থারুর পেয়েছেন হাজারের কিছু বেশি ভোট।
আরও পড়ুন KolkataTv: কলকাতা টিভির সম্প্রচার বন্ধ হবে না, জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক
কংগ্রেসের অন্দরে অনেকদিন ধরেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি উঠছিল। দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দাবি ছিল, গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হন। ওই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি ২৩ বলে পরিচিতি লাভ করে। শশী থারুর সেই গোষ্ঠীরই নেতা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরেই রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। তিনি জানিয়ে দেন, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি পদে থাকবেন না। শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বোঝালেও রাহুল অনড় থাকেন। ২০২০ সালে জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতারা নির্বাচন চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি দেন। গত মে মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির হয়। সেখানেই স্থির হয়, শীঘ্রই সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। সেই মতোই কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচিনের বাদ্যি বেজে ওঠে। ১৭ অক্টোবর ভোট হবে বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ভোট হয় নির্বিঘ্নেই। ফল প্রকাশ হয় ১৯ অক্টোবর।