কলকাতা: কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, আমি কিছুই জানতাম না।বায়রনের দলত্যাগ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের একটা পদ্ধতি আছে। সেই পদ্ধতি মেনেই স্থানীয় ব্লক নেতৃত্ব এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা ব্লকই বলতে পারবে। আমার এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই।
সোমবার মেদিনীপুরের ঘাটালে জনসংযোগ যাত্রা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন তৃণমূলে যোগ দেন। অভিষেক তাঁকে পাশে বসিযে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, অনেক দিন ধরেই বায়রন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। গতকাল কংগ্রেস বিধায়ক আমাকে ফোন করেন। আজ তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
এদিকে বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সাগরদিঘি থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদে পথে নামেন। সাগরদিঘিতে বায়রনের ছবি আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা বলেন, ক্ষমতা থাকলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বায়রন নিজের জোরে সাগরদিঘি থেকে ভোট জিতে আসুন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চোধুরী বলেন, সাগরদিঘির জনাদেশকে পদাঘাত করেছেন বায়রন।
সোমবার বায়রন অভিযোগ করেছিলেন, অধীর বিজেপির বিরুদ্ধে তেমন কিছু বলেন না, যতটা বলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বায়রনের আরও দাবি, শাসকদলে না থাকলে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। অধীর বলেন, বায়রন ভাই, তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভালোই করেছ। তাই বলে মিথ্যে বদনাম দিও না। মঙ্গলবার অধীর দাবি করেন, নিজের ব্যবসা বাঁচাতে ভয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন সাগরদিঘিতে বায়রনের ইস্তফার দাবিতে মিছিল করে সিপিএম। দলের নেতারা বলেন, সাগরদিঘিতে বিশ্বাসঘাতক বায়রনের কোনও স্থান নেই।
এদিন নবান্নে মমতাকে প্রশ্ন করা হয়, বায়রন তৃণমূলে যাওয়ায় বাম-কংগ্রেস জোট ধাক্কা খেল কি না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে রাম-বাম-শ্যাম সব এক হয়েছে। উল্লেখ্য, সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের পর মমতা দাবি করেছিলেন, সেখানে বিজেপির টাকা খেটেছে। ভোটের আগে তৃণমূল প্রচার করে, কংগ্রেস প্রার্থী আসলে বিজেপির লোক। সেখানে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে ভোট করেছে।