জলপাইগুড়ি: কল্পতরু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইতিমধ্যেই নব জোয়ার যাত্রা (Nabo Joyar Jatra) করে সাড়া ফেলেছেন। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় হচ্ছে নবজোয়ার যাত্রায়। সেখানে তিনি গ্রাম বাংলার হাল হকিকত খতিয়ে দেখছেন। রাজ্যজুড়ে তাঁর এই কর্মসূচি চলছে। সেখানেই এক বৃদ্ধার পরিবারের অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন অভিষেক। তাঁর বদান্যতায় পরিবহণ দফতরে (Transport Department) সরকারি চাকরি পেলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঞ্জয়কুমার ঘোষ (Sanjay Kumar Ghosh)। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি মন্দিরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একজন বৃদ্ধ কাননবালা ঘোষ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ওই বৃদ্ধা বলেন, কীভাবে তাঁর এক ছেলে বিজেপি গুণ্ডাদের দ্বারা খুন হয়েছিলেন। এখন অসহায় হয়ে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্য অভাবের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি অনুরোধ করেছিলেন, যদি তাঁর আরেক ছেলে সঞ্জয়কুমার ঘোষ চাকরি পায়। বুধবার জানা গিয়েছে, প্রক্রিয়াকরণের পর সঞ্জয়কুমার ঘোষ পরিবহণ দফতরে চাকরি পেয়েছেন। সঞ্জয় কুমার ঘোষের বাড়ি হচ্ছে ময়নাগুড়ি থানা এলাকার চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের হুসলুডাঙা গ্রামে।
নব জোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে দেখতে রাস্তার দু’ধারে লক্ষ করা যাচ্ছে উপচে পড়া হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। সমর্থকদের উদ্দেশে কখনও গাড়ির ভিতর থেকে, কখনও গাড়ির ছাদে বসে, আবার কখনও গাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গত ২৪ এপ্রিল থেকে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম সহ একাধিক জেলা তিনি ইতিমধ্যে ঘুরে ফেলেছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন। সেখানেই তাঁর কাছে একাধিক দাবি নিয়ে দেখা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Dhari Devi Temple | রহস্যময় মন্দির, যেখানে দেবী প্রতিমা দিনে তিনবার রূপ বদলান
এদিন পুরুলিয়াতেও নব জোয়ার (Nabojoyar) কর্মসূচিতে প্রচুর ভিড় হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য রাস্তার দুধারে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। বাড়ির ছাদ থেকে, পাঁচিলের উপর উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানান অনেকে। বিশাল শোভাযাত্রার মতো নবজোয়ার কর্মসূচি এগিয়ে চলে পুরুলিয়ার রাস্তা দিয়ে। তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ঠেলে অভিষেকের কাছে যেতে পারেননি অবশ্য সমর্থকরা।