কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার তিনি বলেন, বিনা দোষে তিনশো দিন ধরে জেল খাটছি। তার বিচার কোথায়। এদিন আলিপুর পুলিশ কোর্টে হাজির করানো হয় পার্থ-সহ শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা প্রমুখ সাতজনকে। আদালতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে বলে শুনানি হচ্ছে না। কিন্তু অভিযুক্তদের হাজিরা দিতে হবে। তাই এদিন পার্থদের পুলিশ কোর্টে হাজির হতে হয়। কোর্ট লকআপে ঢোকার মুখে পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, শনিবার তো অভিষেককে জিজ্ঞসাবাদ করল সিবিআই। সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলবেন কি না। প্রশ্ন শুনেই রীতিমতো মেজাজ হারান তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব এবং দাপুটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের কাছে তিনি পাল্টা জানতে চান, আমি যে তিনশো দিন বিনা দোষে জেলে রয়েছি, তার বিচার কোথায় ?
এর আগেও পার্থ একাধিকবার আদালতে যাতায়াতের মুখে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছে তিনি জামিন চেয়েছেন বহুবার। সেখানেও তাঁর দাবি ছিল, তিনি নির্দোষ। মাসের পর মাস জেল খাটছেন। অথচ তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই, অভিযোগ প্রমাণও করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা।
অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির পার্থ ঢালাও প্রশংসা করেছেন কিছুদিন আগে। দল তাঁর পাশে না থাকলেও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বারবার বার্তা দিয়েছেন, তিনি দলের সঙ্গেই ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। এই প্রথম পার্থ অভিষেকের প্রসঙ্গ উঠতে মেজাজ হারালেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্নে অভিষেককে শনিবার টানা প্রায় নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। রাতে নিজাম প্যালেসের দফতর থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক বলেন, সব বোগাস। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদের নিট ফল শূন্য। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল দুর্নীতি নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় মাপের নেতাকে মহাসচিব এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই। শুভেন্দু অধিকারীর তো সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে। তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Financial Crisis in US | মার্কিন ভাঁড়ার খালি
অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পার্থ তাঁর প্রসঙ্গ ওঠায় মেজাজ হারালেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, হতাশা এবং ক্ষোভ থেকে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। আবার কেউ বলছেন, দল যে তাঁর পাশে নেই, সেটা বুঝতে পেরেই তিনি মেজাজ হারাচ্ছেন।