Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশShashi Tharoor : কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে জল মাপছেন শশী থারুর? বাড়ছে জল্পনা

Shashi Tharoor : কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে জল মাপছেন শশী থারুর? বাড়ছে জল্পনা

Follow Us :

নয়াদিল্লি: জল্পনাটা চলছে অনেকদিন ধরে। গান্ধী পরিবারের বাইরে এসে কেউ কি কংগ্রেসের হাল ধরবেন? দেশের একাধিক প্রান্তে কোণঠাসা পরিস্থিতি। গুলাম নবী আজাদের মতো প্রবীণ নেতারা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলে দল ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতেই হতে চলেছে কংগ্রেসের নির্বাচন। দলের একটা অংশ রাহুলকে ফের সভাপতির পদে দেখতে চাইলেও রাহুল নিজে এ বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি। সনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে তাঁকে ফের সভানেত্রী করা কঠিন। সে ক্ষেত্রে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে ভাবতে হবে। কিন্তু রাহুল নিজে না হয়ে তাঁর অনুগামীদের কাউকে সভাপতি পদে বসিয়ে পিছন থেকে দল চালালে ফের বিক্ষুব্ধরা মাথাচাড়া দিতে পারেন। রাহুলের ঘনিষ্ঠ শিবিরের অবশ্য দাবি, সভাপতি যিনিই হোন, রাহুল এ বার সক্রিয় হয়ে উঠবেন।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নাম সামনে এসেছে। শোনা গিয়েছে অশোক গেহলতের নাম।  গান্ধীদের বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে মুকুল ওয়াসনিকের নাম। কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক মুকুল বালকৃষ্ণ ওয়াসনিক। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সামাজিক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বর্তমানে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন মুকুল ওয়াসনিক। কংগ্রেসের অন্দরে দুঁদে রাজনীতিক হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তাঁর। ১৯৮৪ সাল থেকে সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় তিনি মহারাষ্ট্রের বুলধানা লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৯৮৪ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ের হিসেব অনুযায়ী, তিনিই ছিলেন সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ।

এই তালিকায় নতুনতম সংযোজন শশী থারুর। লোকসভার এই সদস্যটিকে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। থারুর মালয়ালম পত্রিকায় নিজের কলামে যে সব কথা তুলে ধরেছেন তা নিয়েই চর্চা। একাধিক প্রার্থীকে রেখে স্বচ্ছ্ব ও নিরপেক্ষ ভাবে পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।

তিনি প্রার্থী হবেন একথা বলেননি কোথাও। কিন্তু, সভাপতি নির্বাচন হওয়া উচিত স্বচ্ছ এমন মন্তব্য করে জল্পনা উসকে দিয়েছেন। থারুর নিজের লেখায় যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা হল, ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে যেভাবে বিশ্বকে আকৃষ্ট করেছে তেমনই জাতীয় স্বার্থকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেসেরও নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া উচিত। এতে কংগ্রেসের প্রতি জনসমর্থন বাড়বে বলে তাঁর আশা। থারুর লিখেছেন, আমি আশা করি অনেকেই সভাপতি পদপ্রার্থী হতে এগিয়ে আসবেন। দলের এবং দেশের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াবে।

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই শশী বলেছিলেন, রাহুল যদি সভাপতি হতে না চান তাহলে বিকল্প খোঁজা শুরু হোক। তাঁর প্রস্তাব ছিল, ‘‘কংগ্রেসকে নিয়ে মানুষের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। তা রুখতে হলে অবিলম্বে সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে আমাদের। এমন এক জন নেতাকে খুঁজতে হবে, যিনি পূর্ণমেয়াদের সভাপতি হবেন।’’ সভাপতি নির্বাচিত করা গেলে, দলে সাংগঠনিক স্তরে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করা এবং দ্রুত তার সমাধান সম্ভব হবে। তখন নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করা যাবে।

থারুর আরও বলেন, রাহুল চাইলে যে কোনও মুহূর্তে দলের সভাপতি পদে ফিরতে পারেন। তাঁর যুক্তি, ‘‘রাহুল যদি ফের নেতৃত্বে ফিরতে চান, শুধু পদত্যাগপত্রটি তুলে নিলেই হবে। কারণ ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাই আবার দায়িত্ব হাতে তুলে নিলেই হল। কিন্তু উনি যদি তাতে রাজি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিকল্প সমাধান খুঁজতে হবে আমাদের। কারণ এক জন অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সব দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেবেন, এমনটা আশা করা যায় না। তাই সভাপতি পদে এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আসনগুলিতে নির্বাচন হলে তা দলের পক্ষেই লাভজনক।’’

RELATED ARTICLES

Most Popular