আসানসোল ও বাঁকুড়া: অবশেষে বৃষ্টির (Rain) খরা কাটল বঙ্গে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পাঞ্চল শহর আসানসোলে (Asansol) হয়ে গেল একপশলা কালবৈশাখী (Thunder Storm)। প্রবল বেগে বৃষ্টি, তার সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার (Gusty Wind) দাপট। শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকাই ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় শহর আসানসোল। তারপর শুরু হয় বৃষ্টি ও সঙ্গে সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। বেশ কিছুক্ষণ এই বৃষ্টি হয়। আচমকা কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টিতে দিনভর গুমোট গরমের হাত থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিষ্কৃতি পান আসানসোলবাসী।
একইভাবে এদিন সন্ধ্যায় বাঁকুড়া (Bankura) জেলাও স্বাদ পেল কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টি। দীর্ঘ চার মাস পর বৃষ্টির দেখা পেল জেলাবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পশ্চিম আকাশে মেঘ দেখা যায়। তারপরেই নামে দমকা ঝড় আর সঙ্গে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: H3N2 Influenza Virus | অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই নতুন উপদ্রব এইচ১এন১ এবং এইচ৩এন২
অবশেষে বৃষ্টি এলো কাটোয়া মহকুমা জুড়ে। রাত নটা চল্লিশ নাগাদ ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে বজ্রপাত। ঝিরিঝিরি হালকা হাওয়া। সাড়ে ১০টা নাগাদ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে গোটা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে। বর্ধমান ও কালনাতেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট রয়েছে। তবে বর্ধমান ও কালনাতে এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি।
শুক্রবার সকাল থেকেই স্পষ্ট করে মুখ দেখা যায়নি সূর্যের। বিকেল পর্যন্ত মুখ ভার করে ছিল আকাশ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দু’দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। রবিবার থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে আকাশ। তবে আগামী দু’দিন কলকাতা ও উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাতেও তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।
তবে শনিবার বৃষ্টি নামতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এছাড়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের। রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটি অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই অক্ষরেখার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর পড়বে।
তবে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের ইঙ্গিত, এখন যে কোনও সময়ই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় কালবৈশাখীর দেখা মিলতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশচন্দ্র দাস বলেছেন, কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে একটি কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যার জেরে ঝড়বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কালবৈশাখী হলে তার পরের কয়েকদিন পর্যন্ত কমবে গরম। ফিরবে স্বস্তি।
এছাড়াও এখন আমগাছগুলিতে আম ধরতে শুরু করেছে। অন্যদিকে আলুচাষের জমিতে বৃষ্টির জল না পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটছে চাষিদের। গোটা শীতকাল একফোঁটাও বৃষ্টি না হওয়ায় আমের মুকুল খসে পড়েছে। কোথাও মুকুল শুকিয়ে এসেছে। তবে সব থেকে ক্ষতি হয়েছে আলু চাষে।