Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeলাইফস্টাইলH3N2 Influenza Virus | অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই নতুন উপদ্রব এইচ১এন১  এবং এইচ৩এন২ 

H3N2 Influenza Virus | অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই নতুন উপদ্রব এইচ১এন১  এবং এইচ৩এন২ 

Follow Us :

নয়াদিল্লি: দেশে অ্যাডিনোভাইরাস (Adenovirus) সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে, প্রতি দিনই শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশে নতুন ভাইরাস এইচ১এন১ (H1N1) এবং এইচ৩এন২ (H3N2) সংক্রমণ  দেখা দিয়েছে। শুধু উপসর্গ নয়, এইচ৩এন২  ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হরিয়ানা ও কর্ণাটকের দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন। এইচ১এন১  ভাইরাসে ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।  

গত কয়েক মাস ধরে দেশে জ্বরে আক্রান্তের ঘটনা বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরিজনদের দাবি। দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে দিল্লি ও রাজধানী অঞ্চলের পাশ্ববর্তী শহরগুলিও মরশুমি জ্বরে ভুগছে। এই ফ্লু হল ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) ভাইরাসের একটি ধরন। সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ নিয়ে আসছে জ্বরটি। আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই উপসর্গগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২-এর জন্য দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটি বেশি মারাত্মক এবং এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : Adenovirus | ফের বিসি রায় হাসপাতালে ৩ শিশুর মৃত্যু 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, এইচ১এন১ ও  এইচ৩এন২  ভাইরাস দুটির উপসর্গ অনেকটা কোভিডের মতো। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হয়, এছাড়া গলা ব্যথা ও ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এইচ৩এন২ ভাইরাস ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ভাইরাসের উপরূপ। ভাইরাসটি খুব ছোঁয়াচে। কফ,হাঁচি এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে মরশুমি ফ্লু (Seasonal Flu)’র হাত থেকে বাঁচতে নির্দেশিকা (Guidelines) জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা আধিকারিকদের ফেস মাস্ক ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা উপরও জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সাধারণের উদ্দেশে বিশেষজ্ঞদের বার্তা,আমাদের অনেকেরই অভ্যেস রয়েছে জ্বর,সর্দি-কাশি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খেয়ে নেওয়া। তবে এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে নিজেদের ডাক্তারি ফলানো একেবারেই উচিত নয়। অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

RELATED ARTICLES

Most Popular