কলকাতা: মা (Mother) হওয়া মানেই অনাবিল আনন্দ। মা হওয়ার অনুভূতি পৃথিবীর সকল অনুভূতিকে হার মানায়। প্রসবের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করার পর মা যখন সন্তানের (Child) কান্না শোনেন তখন তাঁর সব কষ্ট আনন্দে রূপান্তরিত হয়ে যায় নিমেষে। কিন্তু এটা কী কখনও খেয়াল করেছেন, প্রতিটি শিশু জন্মের পর কাঁদে বা কাঁদতে বাধ্য হয়। যে শিশু নিজে কাঁদে না সেক্ষেত্রে শিশুর পিঠে থাপ্পড় দিয়ে শিশুকে কাঁদানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কেন শিশু জন্মের পর কেঁদে ওঠে? শুধু তাই নয়, শিশু না কাঁদলে তাকে কাঁদানোর জন্য এত তাড়াহুড়োই বা কেন করেন চিকিৎসকরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে।
একটি শিশু (Child) যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে মায়ের গর্ভ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শিশু যদি জন্মের পরপরই চিৎকার করে কেঁদে ওঠে তবে বোঝা যায় তার হার্ট ও ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করছে। শিশুর কান্না দেখে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। শিশু উচ্চস্বরে কাঁদছে তার মানে হল সেই শিশু পুরোপুরি সুস্থ। তবে শিশুটি যদি খুব আস্তে আস্তে কান্নাকাটি করে, তাহলে তার কিছু শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:Nabanita Das | Jeetu Kamal | বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কিভাবে ভুলবেন নবনীতা?
জন্মের আগে পর্যন্ত শিশু মায়ের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয়। জন্মের কয়েক সেকেন্ড পরে শিশু নিজে থেকেই শ্বাস নেওয়া শুরু করে। শিশু যখন গর্ভের বাইরে আসে তখন হৃদপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণের কারণে আটকে যায়। আর তখনই শিশু চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এ কান্নার ফলেই পরিষ্কার হয় তার শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। এরপর শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।
শিশুর কান্না অনেকের কাছে উদ্বেগের মনে হলেও আসলে সবক্ষেত্রে তা নয়। বরং দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় কাঁদা শিশুর জন্য স্বাভাবিক। অনেকগুলো গবেষণা জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর শিশুর একদিনে বা ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা কাঁদা উচিত। তবে যদি শিশু চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শিশু যত বড় হবে তত তার কান্নার পরিমাণও কমতে শুরু করবে।