বেঙ্গালুরু: প্রত্যাশা ছাড়িয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে কংগ্রেস (Congress)। শনিবার বেলা ১২টা গড়াতেই ফল পরিষ্কার। উল্লাস শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস শিবিরে। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের পার্টি অফিসগুলিতে মিষ্টি বিলি (Sweet Distribution) শুরু হয়ে গিয়েছে। বাজি ফাটানো শুরু হয়েছে। কংগ্রেসে কে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হবেন তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। ফলাফলের যা প্রবণতা (Trend) তাতে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Loksava Vote) আগে বিজেপির (BJP) বড় ধাক্কা এটি। দক্ষিণ ভারতের (South India) একটি রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল বিজেপি (BJP)। সেটিও হাতছা্ড়া হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির। বেলা ১টা পর্যন্ত ফলের যা প্রবণতা তাতে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস ১৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ৬৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। জেডিএস ২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যান্যরা ৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বেলা ১০ টা গড়াতেই ফলাফলের প্রবণতাতে পরিষ্কার হয়ে যায় কংগ্রেস ১১৩টি আসন পেরিয়ে গিয়েছে। ২২৪ বিধানসভার কর্ণাটকে তখন থেকেই পরিষ্কার কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে।
কংগ্রেস দাবি করতে শুরু করেছে, এটা রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার সুফল। বিজেপির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা লক্ষ্যপূরণ করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সমর্থকদের সেরা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি। তবে পূর্ণ ফল প্রকাশের পর আমরা বিস্তারিত বিশ্লেষণ করব। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এদিন শিমলার জখুতে কর্ণাটক ও দেশের মানুষের শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন। কংগ্রেস টুইট করেছে, আজ আমাদের থামানো যাচ্ছে না। এদিকে কংগ্রেস সমর্থকেদর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সিদ্ধারামাইয়া না ডিকে শিবকুমার। তা নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস শিবির। সিদ্ধারামাইয়ার পুত্র যতীন্দ্র সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, তাঁর বাবারই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। উল্লেখ্য, বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষাতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত ছিল। সেক্ষেত্রে জেডিএস দলের কিংমেকার হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। তবে সব সমীক্ষাতেই গত বিধানসভার চেয়ে এবার কংগ্রেসের যে ভালো ফল হবে তা বলা হয়। একাধিক সমীক্ষাতে দাবি করে হয়েছিল, কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরছে।
আরও পড়ুন: Municipality Scam | ৬০ পুরসভায় নিয়োগের নামে ৪০ কোটি তোলেন অয়ন, ইডির FIR
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেছেন, কংগ্রেস ১২০টির বেশি আসনে জিতবে। দুর্নীতিতে মানুষ ক্ষুব্ধ। মানুষ প্রকৃত পরিবর্তন চেয়েছিল। কংগ্রেস এগিয়ে থাকতে শুরু হতেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় ভিডিও টুইট করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভারত জোড়ো যাত্রা সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী কর্ণাটকে জোরদার প্রচার করেছিলেন। ১৯৮৫ সালের পর থেকে একবারের বেশি কেও ক্ষমতায় আসেনি কর্ণাটকে। বিজেপি সেই প্রবণতা ভাঙতে চেয়েছিল।